Rajasthan Woman Fails Virginity Test : বিয়ের আগেই কুমারীত্ব হারিয়েছেন বধূ? পরীক্ষা নিল শ্বশুরবাড়ি, এরপর কী ঘটল…

Rajasthan Woman Fails Virginity Test : 'ভার্জিনিটি টেস্ট' দিতে বাধ্য করা হল গৃহ বধূকে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ন না হওয়ার কারণে মেয়েটির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নিদানও দেওয়া হয়েছে।

Rajasthan Woman Fails Virginity Test : বিয়ের আগেই কুমারীত্ব হারিয়েছেন বধূ? পরীক্ষা নিল শ্বশুরবাড়ি, এরপর কী ঘটল...
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2022 | 5:19 PM

জয়পুর : এক ২৪ বছর বয়সী যুবতিকে ‘ভার্জিনিটি টেস্ট’ দিতে বাধ্য করা হল। সেই পরীক্ষায় যুবতী উত্তীর্ণ না হওয়ার কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাঁকে মারধরও করে। রাজস্থানের ভিলওয়ারার ঘটনা। তবে মারধরেই থেমে থাকেনি মেয়েটির শ্বশুরবাড়ি। এই বিষয়ে ডাকা হয় পঞ্চায়েতও। ‘ভার্জিনিটি টেস্টে’ উত্তীর্ন না হওয়ার কারণে মেয়েটির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নিদানও দেওয়া হয়েছে।

ভিলওয়াড়াতে গত ১১ মে বিয়ে হয়েছে যুবতীর। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিয়ের প্রথম দিনেই তাঁকে ‘ভার্জিনিটি টেস্ট’ দিতে বলা হয়। শনিবার এই বিষয়ে পুলিশের কাছে একটি মামলা দায়ের করেন যুবতি। সেই এফআইআরে তিনি অভিযোগ করেছেন, সেই পরীক্ষায় ফেল করার পর তাঁর স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাঁকে নির্যাতন করে। তারপর ৩১ মে স্থানীয় একটি মন্দিরে খাপ পঞ্চায়েত ডাকেন। সেখানে মেয়েটির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেই যুবতি শ্বশুর বাড়িতে জানিয়েছেন, বিয়ের আগে তাঁর এক প্রতিবেশী তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। সুভাষ নগর পুলিশ স্টেশনে সেই ধর্ষণের পর অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। বাগোরের স্টেশন হাউস অফিসার আয়ুব খান জানিয়েছেন, স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই পুলিশ এই বিষয়ে তদন্তে শুরু করেছে। শনিবার যুবতির শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে মন্ডল ডিএসপি সুরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, কুকাড়ি প্রথার শিকার এই যুবতি। সাঁসি যাযাবর সম্প্রদায়ের মধ্যে এই রীতির প্রচলন রয়েছে। রাজস্থানে এটি কুকাড়ি প্রথা হিসেবে পরিচিত। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি জানাজানি হতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ, ৩৮৪, ৫০৯ ও ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। একটি ভিডিয়ো ক্লিপে যুবতিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ বিকেলে যে রীতিনীতি হয় আমি তাতে ব্যর্থ হই। তারপর রাত অবধি আলোচনা চলে। আমি ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। তারপর আমার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মারধর করেন।’