Electricity Amendment Bill 2022 : বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২২ কী? ইঞ্জিনিয়াররা কেন করছেন এর বিরোধিতা?

Electricity Amendment Bill 2022 : সোমবার সংসদে পেশ করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২২। এরপর থেকেই বিদ্যুৎ পরিষেবার বেসরকারিকরণ নিয়ে সরব হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার, বিরোধীরা।

Electricity Amendment Bill 2022 : বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২২ কী? ইঞ্জিনিয়াররা কেন করছেন এর বিরোধিতা?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2022 | 4:43 PM

নয়া দিল্লি : সংসদে বাদল অধিবেশন চলছে। আর এই অধিবেশন চলাকালীন সোমবার লোকসভায় পেশ করা হয়েছে বিদ্য়ুৎ সংশোধনী বিল ২০২২। কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রী আরকে সিং এই বিল পেশ করেন লোকসভায়। এই বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে তা বিবেচনার জন্য পাঠানোর অনুরোধও জানান তিনি। এদিকে সংসদে এই বিল পেশের পর থেকেই এই বিল নিয়ে সরব হয়েছেন এই সংশোধনী বিল নিয়ে। ইতিমধ্য়েই বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে কর্মরত প্রায় ২৭ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এই বিলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন সরকার এই বিল প্রত্যাহার করে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে সোমবার লোকসভায় এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি এই বিষয়ে তৃণমূলের অবস্থানও তুলে ধরেন।

বিরোধীদের মতে, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২২-র ফলে দেশে বিদ্যুৎ পরিষেবা বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যাবে। দেশে এক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করতে পারে বেসরকারি বিদ্যুৎ পরিষেবা সংস্থাগুলি। ফলে বড় ক্ষতির সম্ভবনা থাকতে পারে। এই বিল নিয়ে দেশ জুড়ে ইঞ্জিনিয়ার সহ বিরোধীরা সুর চড়িয়েছেন।

বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২২ কী?

এই বিল অনুযায়ী এক কথায় দেশে বিদ্যুৎ পরিষেবার বেসরকারিকরণ। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, এর ফলে সারা দেশে স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে। এই বিল অনুযায়ী, বিদ্যুৎ আইনের ৪২ নম্বর ধারা সংশোধন করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলি বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যৎ সরবরাহ শুরু করতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের দেওয়া হবে লাইসেন্সও। এক কথায় বিদ্যুৎ পরিষেবার বেসরকারিকরণ।

এই বিলের মধ্যে বিদ্যুৎ আইনের ১৪ নম্বর ধারাও সংশোধন করা হবে। যার ফলে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী নেটওয়ার্কগুলি পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ দেবে। এর ফলে বাজারে বাড়বে প্রতিযোগিতা। সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা বাড়বে বলে কেন্দ্রের ধারণা। বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২২ অনুযায়ী, বিদ্যুৎ পরিষেবার গ্রাহকরা একাধিক পরিষেবা প্রদানকারীর মধ্যে যেকোনও একটি পরিষেবা প্রদানকারীকে নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়াররা কেন এই বিলের বিরোধিতা করছেন?

এই বিল সংসদে পেশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ২৭ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ফেডারেশন (AIPEF) এই বিল পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে। এআইপিইএফ-র তরফে এই বিলটিকে বিভ্রান্তিকর বলা হয়েছে। এর ফলে ভারতের সরবরাহকারী সংস্থাগুলি বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে জানিয়েছে এআইপিইএফ।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এআইপিইএফ-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘বিল অনুযায়ী, সরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহকারি সংস্থাগুলি বা ডিসকমগুলি সর্বজনীনভাবে বিদ্য়ুৎ পরিষেবা দিতে বাধ্য থাকবে। বেসরকারি সংস্থাগুলি লাভজনক এলাকায় অর্থাৎ শিল্পাঞ্চলে ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চাইবে যাতে তাদের লাভ বেশি হয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এইভাবে লাভজনক এলাকাগুলি সরকারি ডিসকম থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে। ধীরে ধীরে সরকারি সংস্থাগুলি অলাভজনক সংস্থায় পরিণত হবে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা থেকে আর বিদ্যুৎ কেনার টাকা থাকবে না।’