Amarinder Singh: ‘ধর্মনিরপেক্ষতার কথা আপনারা বলবেন না’, একের পর এক টুইট বাণে কংগ্রেসকে বিঁধলেন ক্যাপ্টেন!

Amarinder Singh Attacks Congress: ২০০৭ সালে অমরিন্দরের নেতৃত্বেই যে বিপুল জয় লাভ করেছিল কংগ্রেস, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ক্যাপ্টেন জানান, নভজ্যোত সিং সিধুর মতো একজন মানুষ, যে কেবলমাত্র নিজের কাছেই নিষ্ঠাবান, তাঁর হাতে দলের দায়িত্বভার ছেড়ে কংগ্রেস নিজেরই ক্ষতি করেছে। 

Amarinder Singh: 'ধর্মনিরপেক্ষতার কথা আপনারা বলবেন না', একের পর এক টুইট বাণে কংগ্রেসকে বিঁধলেন ক্যাপ্টেন!
প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ অমরিন্দর সিংয়ের। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2021 | 7:34 AM

চণ্ডীগঢ়: কংগ্রেস ছাড়ার পথে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। তারই আগে দুই পক্ষের কাঁদা ছোড়াছুড়ি চলছে। সম্প্রতিই অমরিন্দর সিং টুইট করে জানিয়েছিলেন, নতুন দল তৈরি করছেন তিনি। আকালি দলের (SAD) সঙ্গে জোট ছাড়াও কৃষি আইন নিয়ে সমস্যার সমাধান হলে বিজেপি(BJP)-র সঙ্গে জোট বাঁধতেও তাঁর সমস্যা নেই বলে জানিয়েছিলেন। এরপরই কংগ্রেস(Congress)-র তরফে তাঁকে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। এ বার পাল্টা জবাব দিলেন অমরিন্দর সিং।

প্রায় ৪০ বছর ধরে কংগ্রেসে থাকা অমরিন্দর সিং মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের কথা উল্লেখ করে বলেন, “একাধিক বিজেপি নেতাকে দলে নেওয়ার পর ও রাজ্যের সভাপতি হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক কর্মী নভজ্যোত সিং সিধুকে বেছে নেওয়ার পর কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই।”

পঞ্জাব কংগ্রেসের ইনচার্জ হরিশ রাওয়াত (Harish Rawat) মঙ্গলবারই অমরিন্দর সিংয়ের ঘোষণা নিয়ে বলেছিলেন, “অমরিন্দর সিংয়ের ভিতরে যে ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিত্ব ছিল, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।” এই মন্তব্যের পরই বৃহসেপতিবার অমরিন্০দরের যাবতীয় টুইট বাণ হরিশ রাওয়াতকে লক্ষ্য করেই চলে। অমরিন্দর সিংয়ের মিডিয়া পরামর্শদাতা রবীন ঠুকরাল টুইটে লেখেন, “ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কথা বলা বন্ধ করুন হরিশ রাওয়াতজী। ভুলে যাবেন না কংগ্রেস নভজ্যোত সিং সিধুকে দলে নিয়েছে, যে ১৪ বছর ধরে বিজেপিতে ছিল। নানা পাটোলে ও রেভনাথ রেড্ডিই বা কোথা থেকে এসেছেন? পারগত সিংও ৪ বছর ধরে আকালি দলের সঙ্গেই ছিল।”

২০০৭ সালে অমরিন্দরের নেতৃত্বেই যে বিপুল জয় লাভ করেছিল কংগ্রেস, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ক্যাপ্টেন জানান, নভজ্যোত সিং সিধুর মতো একজন মানুষ, যে কেবলমাত্র নিজের কাছেই নিষ্ঠাবান, তাঁর হাতে দলের দায়িত্বভার ছেড়ে কংগ্রেস নিজেরই ক্ষতি করেছে।

ক্যাপ্টেনের আক্রমণ থেকে বাদ পড়েননি নভজ্যোত সিং সিধুও। তাকে কটাক্ষ করে অমরিন্দর সিং বলেন, “আপনার (নভজ্য়োত সিং সিধু) মতো জালিয়াত দেখেনি। বিগত ১৫ বছর ধরে আমার তৈরি ফসল বৈচিত্রের উদ্যোগকেও কৃষি আইনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চাইছেন, যার বিরুদ্ধে আমি এখনও লড়ছি এবং আমার পরবর্তী রাজনেৈতিক জীবনও জড়িয়ে রয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করে বলেন, “স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে আপনার পঞ্জাব ও এর কৃষকদের সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। আপনি বৈচিত্র ও কৃষি আইনের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়, তাও জানেন না। এরপরও আপনি স্বপ্ন দেখেন পঞ্জাবে নেতৃত্ব দেওয়ার। যদি সেটাই হয়, তবে এর থেকে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছু হবে না।”

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নতুন দলের কথা ঘোষণার পর থেকেই কংগ্রেসের দিক থেকে এদের পর এক আক্রমণ শুরু হয়েছে। সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া বলেন, “বিজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কথা ঘোষণা করে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং নিজেকেই ধ্বংস করে ফেললেন। একসময় তিনিই বিজেপির সমালোচনা করতেন। বিজেপির উচিত অমরিন্দর সিংয়ের উপরে তদন্ত করা উচিত।”

হরিশ রাওয়াতও অমরিন্দর সিংকে আক্রমণ করে বলেন, “যদি উনি কাক খেতে চান এবং বিজেপিকে যেতে চান, তবে যান। উনি যদি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারেন, তবে আমরা আটকানোর কে? উনি সর্বধর্ম সম্ভব প্রতীকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং কংগ্রেসের ঐতিহ্যের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত ছিলেন। যদি উনি যেতে চান, তবে যাক।”

আরও পড়ুন: COVID Vaccine: ৯ মাসে পূরণ হয়েছে প্রথম ধাপ, বাকি ১০০ কোটি করোনা টিকা দিতে লাগবে কত সময়?