রাজস্থানের ভাঁড়ারে ২ দিনের টিকা, পঞ্জাবে ৫ দিনের, তবুও ঘাটতির অভিযোগ মানতে নারাজ কেন্দ্র

এ দিন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানান, রাজ্যে কেবল পাঁচদিনের ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা রাজস্থানে। সেখানে কেবল দুইদিনের টিকা মজুত রয়েছে। টিকা ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও।

রাজস্থানের ভাঁড়ারে ২ দিনের টিকা, পঞ্জাবে ৫ দিনের, তবুও ঘাটতির অভিযোগ মানতে নারাজ কেন্দ্র
টিকা নেওয়ার জন্য লম্বা লাইন। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Apr 10, 2021 | 8:23 PM

চণ্ডীগঢ়: একা মহারাষ্ট্রই নয়, ভ্যাকসিনের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে অন্যান্য রাজ্যেও। শুক্রবারই ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাস জানিয়েছিলেন, রাজ্যে মাত্র দু’দিনের টিকা মজুত রয়েছে। একই সমস্যা নিয়ে এ বার সুর চড়ালেন পঞ্জাব ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীও। দুই মুখ্যমন্ত্রীরই দাবি, তাঁদের রাজ্যেও টিকার আকাল দেখা গিয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই টিকা ফুরিয়ে যাবে।

এ দিন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানান, রাজ্যে কেবল পাঁচদিনের ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে দ্রুত টিকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। অন্যদিকে, আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা রাজস্থানে। সেখানে কেবল ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ের মতো টিকা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে টিকা সঙ্কট ও আগামিদিনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শনিবার সকালে কেন্দ্রের উদ্দেশে একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, “বর্তমানে রাজ্যে কেবল পাঁচদিনের টিকা মজুত রয়েছে(৫.৭ লাখ ডোজ়)। প্রতিদিন রাজ্যে ৮৫ থেকে ৯০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। যদি রাজ্যে দৈনিক টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়, অর্থাৎ প্রতিদিন দুই লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়, তবে আগামী দু-তিনদিনের মধ্যেই মজুত টিকা শেষ হয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে দ্রুত করোনা টিকার নতুন ব্যাচ পাঠানো হবে।”

পঞ্জাবে টিকাকরণের হার কম হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের কারণেই রাজ্যের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। তারই প্রভাব পড়ছে টিকাকরণেও।

আরও পড়ুন: লকডাউনে ‘না’, রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কড়া বিধিনিষেধে সায় মুখ্যমন্ত্রীর

অন্যদিকে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেন, “আগামিদিনে প্রতিদিন রাজ্যের পাঁচ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের। রাজস্থানে বর্তমানে যে সংখ্যক টিকা মজুত রয়েছে, তা দুদিনেই শেষ হয়ে যাবে। কেন্দ্র যাতে দ্রুত ৩০ লাখ করোনা টিকা পাঠায়, তার আবেদন জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, এই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই আজ সকালে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেও তাঁরা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ও টিকা ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও আজ রাজ্যে টিকা ঘাটতির কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে ৭-১০ দিনের টিকা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তাও জানিয়েছিলেন যে দু’দিনের টিকা মজুত রয়েছে রাজ্যে। শীঘ্রই ১০ লাখ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন।

এদিকে, কেন্দ্র টিকা ঘাটতির তত্ত্ব মানতে নারাজ। আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারমঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “প্রতিটি রাজ্যকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। কোথাও কম পাঠানো হয়নি। ঘাটতি কীভাবে হবে?” কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও বলেছিলেন, নির্দিষ্ট কিছু রাজ্য সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিজেদের গাফিলতি ঢাকতেই টিকার ঘাটতি নিয়ে মিথ্যাচার করছে।

আরও পড়ুন: এ বার কী তবে লকডাউন? সিদ্ধান্ত নিতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরের