Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ দর্শনে এবার ‘আরাম’ করে লাইনে দাঁড়াতে পারবেন, জেনে নিন সেই বিশেষ ব্যবস্থা
Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিদিন শয়ে-শয়ে পুণ্যার্থীর ঢল নামে। অতিরিক্ত ভিড়ের ফলে অনেকের পক্ষেই জগন্নাথদেবকে দর্শন করা সম্ভব হয় না। বিশেষত, বয়স্কদের পক্ষে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হয় না। তাই এবার তাঁদের কথা বিবেচনা করে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরী জেলা প্রশাসন।
পুরী: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দিরে ( Jagannath Temple) প্রতিদিন শয়ে-শয়ে পুণ্যার্থীর ঢল নামে। আর রথযাত্রা, জগন্নাথদেবের স্নান, দোল উৎসব হলে তো কথাই নেই। হাজার-হাজার পুণ্যার্থীর ভিড় জমে মন্দির চত্বরে। অতিরিক্ত ভিড়ের ফলে অনেকের পক্ষেই জগন্নাথদেবকে দর্শন করা সম্ভব হয় না। বিশেষত, বয়স্কদের পক্ষে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হয় না। তাই এবার তাঁদের কথা বিবেচনা করে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরী জেলা প্রশাসন। এবার মন্দির চত্বরে চেয়ার এবং উপরে শেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁদের পক্ষে গর্ভগৃহে ঢোকার জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানো সম্ভব নয়, তাঁরা ওই চেয়ারে বসে অপেক্ষা করতে পারবেন।
গত মঙ্গলবার পুরী জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের বৈঠক ছিল। মূলত, জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ এবং বিগ্রহের দর্শনের প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকেই মন্দির চত্বরে ভক্তদের জন্য বসার চেয়ার ও মাথার উপর আচ্ছাদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবরটি জানিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক রঞ্জন দাস বলেন, “বয়স্ক এবং অসুস্থ পুণ্যার্থীদের জন্য আমরা শেড এবং চেয়ার রাখার পরিকল্পনা করেছি। মন্দির চত্বরেই চেয়ার থাকবে। অসুস্থ এবং বয়স্ক পুণ্যার্থীরা সেখানে বসে অপেক্ষা করতে পারবেন।”
রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে মাথার উপর আচ্ছাদন ও কেবল বসার জন্য চেয়ারের বন্দোবস্ত নয়, পানীয় জল-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এব্যাপারে মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সুদর্শন পট্টনায়েক বলেন, “আমরা পুণ্যার্থীদের পানীয় জল ও অন্যান্য পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”
আসন্ন কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আগামী সোমবার পর্যন্ত পুরীর মন্দিরে যথেষ্ট ভিড় হবে। তাই পুণ্যার্থীদের জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশে যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য মন্দিরের বাইরে গ্র্যান্ড রোড থেকে মরচিকোট চক পর্যন্ত হকারদের তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুরীর জেলা কালেক্টর সমরাথ ভার্মা। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের তরফে গ্র্যান্ড রোডে মন্দিরের পাশে পানীয় জল, মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে এবং অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।