Diamond: ভাগ্য খুলে গেল রাজুর, কাদা খুঁড়তেই বেরিয়ে এল ১৯ ক্যারেটের পেল্লাই হিরে!
Diamond Mining: রুটিন ডিউটিতেই তিনি খনিতে গিয়েছিলেন। সেখানে কাদার মধ্যেই হঠাৎ শক্ত একটা পাথরের মতো জিনিস হাতে ঠেকে। জল দিয়ে ধুতেই ধাঁধিয়ে যায় চোখ। দেখেন, বিশালাকার হিরে এটি।
সাগর: ১০ বছর ধরে খনিতে কাজ করছেন, বিভিন্ন রত্নও খুঁজে পেয়েছেন কখনও সখনও, কিন্তু এমন জিনিস কখনও পাবেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি। খনির ভিতরে কাদামাটি সরাতেই খুঁজে পেলেন পেল্লাই আকারের হিরে। জানা গিয়েছে, ১৯.২২ ক্যারেটের হিরে এটি। দাম আনুমানিক ৮০ লক্ষ টাকা। তবে এই হিরের দাম বাড়বে আরও।
রাজু গৌর নামক এক আদিবাসী ব্যক্তি খনি থেকে হিরে খুঁজে পেয়েছেন। মধ্য প্রদেশের পান্না জেলার কৃষ্ণ কল্যানপুরের একটি খনিতে বিগত ১০ বছর ধরে কাজ করছেন। কখনও সখনও রত্ন পেলেও, হিরে দেখেননি কখনও। তবে চলতি সপ্তাহের বুধবারই তাঁর ভাগ্য বদলে যায়।
রুটিন ডিউটিতেই তিনি খনিতে গিয়েছিলেন। সেখানে কাদার মধ্যেই হঠাৎ শক্ত একটা পাথরের মতো জিনিস হাতে ঠেকে। জল দিয়ে ধুতেই ধাঁধিয়ে যায় চোখ। দেখেন, বিশালাকার হিরে এটি।
যেহেতু খনিটি সরকারি লিজ নেওয়া, তাই সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি আধিকারিকদের কাছে ওই হিরে জমা দেন। পরীক্ষার পর পান্না জেলার জেলাশাসক সুরেশ কুমার জানান, রাজু গৌর নামক ওই শ্রমিক সত্যিই খনির ভিতর থেকে ১৯.২২ ক্যারেটের একটি হিরে খুঁজে পেয়েছেন। এর আনুমানিক মূল্য ৮০ লক্ষ টাকা। তিনি জানান, এই হিরেটি নিলামে তোলা হবে।
এদিকে, হিরে পেয়ে যারপরনাই খুশি রাজু। তিনি বলেন, “আমি হিরেটি দেখেই চমকে যাই…আশা করছি আমার সমস্ত আর্থিক সমস্যা এবার শেষ হবে। আমি অনেককেই এভাবে গরিব থেকে রাতারাতি ধনী হতে দেখেছি। আমিও সেই আশাতেই খনিতে কাজ শুরু করি। ভাগ্যক্রমে হিরে পেলাম আমি।”
পান্না ডায়মন্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শ্রীনীবাস রিচারিয়া জানিয়েছেন, এই ধরনের হিরে বিরল। প্রতি ক্যারেটের মূল্য ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা তাই এই হিরের দাম ৮০ লক্ষ টাকা থেকে ১.২৫ কোটি টাকা উঠতে পারে। এই বছরের সবথেকে দামি হিরে এটাই।