‘তুঘলকি লকডাউন, প্রভুর গুণগান’, কেন্দ্রের কোভিড রাজনীতিকে কটাক্ষ রাহুলের
নয়া দিল্লি: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শব্দের তলোয়ারে ধার দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার তিনি গতবছরের লকডাউনের সিদ্ধান্তকে “তুঘলকি লকডাউন” বলে আখ্যা দেন। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ পার করেছে। এই পরিস্থিতির জন্য় কেন্দ্রকে দোষারোপ করে গতবছরের লকডাউনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন রাহুল […]
নয়া দিল্লি: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শব্দের তলোয়ারে ধার দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার তিনি গতবছরের লকডাউনের সিদ্ধান্তকে “তুঘলকি লকডাউন” বলে আখ্যা দেন।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ পার করেছে। এই পরিস্থিতির জন্য় কেন্দ্রকে দোষারোপ করে গতবছরের লকডাউনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড রাজনীতির তিনটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরে তুঘলকি লকডাউন জারি কর। দ্বিতীয় স্তরে ঘণ্টি বাজাও এবং তৃতীয় স্তরে প্রভুর গুণগান কর।”
केंद्र सरकार की कोविड रणनीति-
स्टेज 1- तुग़लक़ी लॉकडाउन लगाओ।
स्टेज 2- घंटी बजाओ।
स्टेज 3- प्रभु के गुण गाओ।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 16, 2021
এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রের লকডাউনের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। পরিযায়ী শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা চিন্তা না করেই কেন্দ্র গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে দেশব্যপী যে লকডাউন জারি করেছিল, তার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়েছিল বলে তিনি দাবি করেছিলেন।
এ দিন তিনি ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লকডাউনের সিদ্ধান্ত ও করোনা যোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শনে জনতা কার্ফুর দিন থালা বাজানোর উপদেশের কটাক্ষ করেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে করোনা টিকার ঘাটতি দেখা দিতেই বিদেশে রফতানি বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপর করোনাকালে সিবিএসই ও অন্যান্য পরীক্ষাগুলি বাতিলের আর্জি জানিয়েও টুইট করেছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আম খেতে পছন্দ করেন, এই কথাকে কটাক্ষ করেও তিনি টুইটে বলেছিলেন, “করোনায় নিয়ন্ত্রণ নেই, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনও নেই, রোজগারের কোনও ব্যবস্থা নেই, কিষাণ-মজদুরদের কথা শোনা হয় না। এমএসএমই সুরক্ষিত নয়, মধ্যবিত্ত মানুষও সন্তুষ্ট নয়। আম খাওয়া অবধি ঠিক ছিল, কিন্তু আমজনতাকে তো ছেড়ে দিন।”
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি মেনেই নিজামুদ্দিনে ৫০ জনের নমাজ পড়ায় অনুমতি দিল্লি হাইকোর্টের