মাথায় লাল পাগড়ি, হাতে ট্রাক্টরের স্টিয়ারিং! কৃষক আন্দোলনে কি রাজনীতির রঙ?
শুক্রবারই রাহুল গান্ধী বলেছিলেন কৃষি হল ৪০ লক্ষ কোটির ব্যবসা
জয়পুর: রাজপথে কৃষকের আন্দোলনের ছবি দেখছে গোটা দেশ। ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লার ঘটনায় শিউরে উঠেছে রাজধানী সহ গোটা দেশ। আন্তর্জাতিক স্তরের তারকাদের সমর্থনকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি কেন্দ্র। কিন্তু এ সব সত্ত্বেও কৃষকেরা বারবার বলেছেন, তাঁদের আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক রঙ নেই। রাজনৈতিক পালাবদল ও তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই তাঁদের এই আন্দোলন। কিন্তু সেই আন্দোলনে কার্যত রাজনীতির রঙ লাগিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে চড়ে বসলেন ট্রাক্টরে।
মাথায় লাল-সবুজ পাগড়ি। শনিবার বিকেলে গেহলটকে পাশে নিয়ে রাজস্থানের রাস্তায় ট্রাক্টর চালালেন তিনি। শুক্রবারই রাজস্থানের জনসভা থেকে কৃষকদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। শনিবার তাঁকে দেখা গেল একেবারে রাজপথে অবতীর্ণ হতে। শুক্রবার রাজস্থানের হনুমানগড় আর গঙ্গানগরে জনসভা করেন তিনি। সেখান থেকে তিনি বলেছিলেন, ‘মোদী চিনের সামনে দাঁড়াবেন না অথচ কৃষক কৃষকদের হুমকি দেবেন।’
আরও পড়ুন: ‘সচ্চেও নয়, অচ্ছেও নয় মোদী সরকারের দিন’, কটাক্ষ রাহুলের
শনিবার রাজস্থানের কৃষ্ণগড় ও রুপানগড়কে বেছে নিয়েছেন তিনি। রাজ্যের একেবারে মধ্যস্থলে হওয়ায় এই দুই জায়গাকে বেছে নিয়েছেন তিনি, যাতে গোটা রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের প্রভাব পড়ে। গত সপ্তাহে সচিন পাইলট কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়ান।
শুক্রবারই রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এই আক্রমণ কৃষকদের উপর নয়, ভারতের ৪০ শতাংশ জনতার উপর।’
কৃষকদের ‘অন্নদাতা’ আখ্যা দিয়ে শুক্রবার রাজস্থানের জনসভা থেকে তিনি বলেন, “অন্নদাতাদের সঙ্গেই আমি ছিলাম, তাঁদের সমর্থনেই থাকব।” কৃষকেরা দেশের উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলন করছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। শুক্রবারের পরই শনিবারই কৃষিকে তিনি ৪০ লক্ষ কোটির ব্যবসা বলে উল্লেখ করেন। কৃষি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, এটি ৪০ লক্ষ কোটির ব্যবসা। তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, এই তিন বিল কার্যকর হলে এই ৪০ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা দু’জন মানুষের কুক্ষিগত হয়ে যাবে।”
এদিকে, শনিবার রাজ্যসভায় কৃষি আইন নিয়ে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি ভেবেছিলাম রাহুল গান্ধী হয়তো বলবেন যে কৃষি আইন নিয়ে কংগ্রেস কেন ইউ টার্ন নিল। নিজের প্রচারপত্রে ওনারা কৃষিক্ষেত্রে পরিবর্তন নিয়ে কথা বললেও এখন সেই আইনেরই প্রতিবাদ করছেন। ভোটের জন্য তাঁরা কৃষি ঋণের লোভ দেখালেও মধ্য প্রদেশের মতো বহু রাজ্যেই সেই প্রকল্প চালু করা হয়নি।”