ভোটের ফলাফল থেকে দলের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা ক্রমশ কমছে বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। বিরোধিতা করলেও, আলোড়ন ফেলে দেওয়ার নজির কমই আছে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন সময় যে আওয়াজ তুলছে, সেটাই আরও একটু সংগঠিত করতে এবার পথে নেমেছেন কংগ্রেসের 'যুবরাজ।'
কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা। ১২ টি রাজ্য পেরিয়ে কাশ্মীর যাবেন তিনি।
২০২৪ এগিয়ে আসছে। দিল্লিতে ফের কুর্সির লড়াই। তার আগে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত স্লোগান আরও বেশি মানুষের কানে পৌঁছে দিয়ে চায় কংগ্রেস। হাত শিবিরের কথায়, ২০২২-এ এক ইতিহাসের সূচনা করেছে তারা।
১২ টি রাজ্য, ৩৫৭০ কিলোমিটার রাস্তা, ১৫০ দিন, আর লক্ষ লক্ষ মানুষকে সামিল করা, এটাই কংগ্রেসের লক্ষ্য। চলতে চলতে কখনও হাত ধরেছেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা, কখনও হাত মিলিয়েছেন তারকারা।
দুই শতাধিক কংগ্রেস কর্মী যাত্রা করছেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ৬০ টি কন্টেনারে রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা। সেগুলি ট্রাকে করে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনোটায় আছে ২ টি বিছানা, কোনওটায় ১০ টি। বেশিরভাগ কন্টেনারই নন-এসি।
যে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে, সেই পরিবারই এবার রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের 'কাছের' হয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সভা, মিটিং, মিছিল নয়, এক অভিনব প্রচারে নেমেছে তারা।
২৪-এর লড়াই যে শুরু হয়ে গিয়েছে, সেটাই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বয়স্ক মানুষেরা রাহুলের কাঁধে হাত রাখছেন, শিশুদের কোলে তুলে নিচ্ছেন 'যুবরাজ'। এসব ছবি যতটা দৃষ্টিনন্দন, ভোট বাক্সে ততটা ছাপ ফেলবে কি না, সেটাই দেখার।