Indian Rail Coaches: কোনটা লাল, কোনটা সবুজ, রেলে থাকা এই চিহ্নগুলোর আসল অর্থ কী জানেন?

Indian Rail Coaches: এগুলি নেহাতই দেখতে ভাল লাগার জন্য নয়। প্রত্যেকটি রঙেরই আলাদা তাৎপর্য রয়েছে।

Indian Rail Coaches: কোনটা লাল, কোনটা সবুজ, রেলে থাকা এই চিহ্নগুলোর আসল অর্থ কী জানেন?
প্রত্যেক চিহ্নের আলাদা অর্থ রয়েছে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 29, 2022 | 8:00 AM

ভারতীয় রেল হল গোটা বিশ্বের নিরিখে অন্যতম বড় একটি সংস্থা। এই সংস্থার পরিধি এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম হিসেবে বিবেচিত হয়। লোকাল ট্রেন হোক বা দূরপাল্লার ট্রেন,প্রায় প্রত্যেক ভারতীয়ের জীবনেই ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দূরপাল্লার ক্ষেত্রে এসি, নন এসি- এমন নানা ভাগ রয়েছে। আবার বয়ে যেতে চাইলে, যাওয়া যাবে চেয়ার কারে। কিন্তু ট্রেনের একেকটি কোচের রঙ একেক রকম হয়। এটা নেহাতই দেখতে ভাল লাগার জন্য নয়। প্রত্যেকটি কোচের আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। এ ছাড়া কোচের গায়ে অনেক সময় ডোরা কাটা দাগ দেখা যায়। তারও আলাদা তাৎপর্য আছে।

কোন রঙের কী মানে?

আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন বেশির ভাগ রেল কোচই নীল রঙের। সেগুলি হল আইসিএফ বা ইন্টিগ্রেটেড কোচ। এগুলির গতি হয় প্রতি ঘণ্টায় ৭০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। মূল মেল ট্রেন বা সুপারফাস্ট ট্রেনে এই কোচগুলি ব্যবহার করা হয়। এগুলি মূলত লোহা দিয়ে তৈরি হয়।

রেলের যে লাল কোচগুলি রয়েছে, সেগুলিকে বলা হয় লিঙ্ক হফম্যান বুশ। এগুলি জার্মানি থেকে আনা হয় ২০০০ সালে। আগে এগুলি ভিন দেশ থেকেই আনতে হত, তবে বর্তমানে এই সব কোচ পঞ্জাবের কাপুরথালে তৈরি হয়। এগুলি অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হয়, যার ওজন অন্যান্য় কোচের থেকে অনেকটাই কম। এগুলিতে থাকে ডিস্ক ব্রেক। প্রতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তুলতে সক্ষম এগুলি। মূলত রাজধানী ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে এটি ব্যবহৃত হয়, যে ট্রেনগুলির গতি অনেক বেশি থাকে।

এ ছাড়া কিছু ট্রেনে রয়েছে সবুজ কোচ। বর্তমানে গরিব রথের মতো সামান্য কয়েকটি ট্রেনে এই কোচ ব্যবহার করা হয়। ন্যারো গজ ট্রেনে এই কোচ লাগানো হয়। তবে এখন বেশির ভাগ ন্যারো গজ ট্রেনই এখন বাতিল হয়ে গিয়েছে।

ডোরাকাটা দাগেরও আলাদা মানে রয়েছে

শুধুমাত্র রঙ নয়, ট্রেনের গায়ের ডোরাকাটা দাগেরও আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। এগুলি তাৎপর্য গুরুত্বপূর্ণ। কোচের একেবারে শেষের দিকে জানালার গায়ে এই দাগ দেখা যায়। যদি নীল রঙের কোচের গায়ে সাদা ডোরাকাটা দাগ থাকে, তাহলে সেটি হল অসংরক্ষিত সেকেন্ড ক্লাস কামরা। এ ছাড়া সাদা কামরার গায়ে সবুজ ডোরাকাটা দাগ থাকার অর্থ সেটি মহিলা কামরা। আবার সাদা কামরার গায়ে যদি লাল রঙের দাগ থাকে, তাহলে সেটি এএমইউ বা মেমু ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা। অর্থাৎ এই চিহ্নগুলি থেকে যাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন।