বেডের আকাল, করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তরিত ৫০০০ কামরার প্রস্তুতি সারল রেল

কঠিন পরিস্থিতিতে গত বছর যে ৫,০০০ কামরাকে রেল করোনা (COVID) ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করছিল, তা ব্যবহার করার সব প্রস্তুতি সেরে নিল।

বেডের আকাল, করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তরিত ৫০০০ কামরার প্রস্তুতি সারল রেল
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 16, 2021 | 3:32 PM

নয়া দিল্লি: আতঙ্কের অপর নাম হয়ে উঠছে করোনা (COVID)। রোজ আক্রান্তের রেকর্ড। বেলাগাম মৃত্যু মিছিল। প্রত্যেকটা সকাল শুরু হচ্ছে চিন্তা নিয়ে। আর বারবার প্রকাশ্যে আসছে বাড়তি সংক্রমণের তোড়ে ভেঙে পড়া রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চিত্র। মহারাষ্ট্রে বেড নেই, অক্সিজেন নেই, বঙ্গেরও একই হাল। একাধিক করোনা ওয়ার্ডে বেড নেই, হাসপাতালে নেই ভেন্টিলেটরযুক্ত বেড। শয্যা সংখ্যা বাড়িয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না রোগীদের চাপ। এই কঠিন পরিস্থিতিতে গত বছর যে ৫,০০০ কামরাকে রেল করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করছিল, তা ব্যবহার করার সব প্রস্তুতি সেরে নিল।

গত বছর কামরা করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তরিত হওয়ার পর সেই মতো নির্দেশিকা পৌঁছেছিল রাজ্যের কাছে। রেলমন্ত্রক জানিয়েছিল, এই কামরাগুলিতে মাঝারি উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে। একেবারে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ম মেনে সেখানে করোনা রোগীদের ও করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হবে। তবে এই সংক্রান্ত সিংহভাগ নেওয়ার এক্তিয়ার রাজ্যের ওপরই ছেড়েছিল রেল। প্রস্তাবনায় মন্ত্রক জানিয়েছিল, এই পদ্ধতির উদ্দেশ্য হল ক্লিনিক্যাল অবস্থায় উপসর্গযুক্ত রোগীদের নজরে রাখা। তবে উপসর্গ কোনও পরিবর্তন এলে বা শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর কথাও উল্লেখ ছিল নির্দেশিকায়। গত বছরের অনুমোদিত সেই নির্দেশিকা এ বছরও একই রেখেছে রেল।

কামরাগুলিতে করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহভাজনদের পৃথক পৃথক রাখার নির্দেশ দিয়েছিল মন্ত্রক। একটি ক্যাবিনে সর্বোচ্চ দু’জন করোনা আক্রান্ত থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছিল রেলমন্ত্রক। নির্দেশিকায় রাজ্যকে জানানো হয়েছিল, রেল কামরাগুলি এমন স্টেশনে রাখতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত জল ও পরিবহণ সুবিধা রয়েছে। যাতে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। কোন স্টেশনে কামরা থাকবে, কীভাবে তা পরিচালিত হবে, এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্যকে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল রেলমন্ত্রক। সম্পূর্ণ ব্যবস্থায় যাতে কোনও বিপত্তি না আসে তার জন্য প্রত্যেক রাজ্যে নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছিল রেল। রাজ্যের প্রশাসন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা পরিচালনা করেছিলেন। রেল কামরা ও স্টেশন চিহ্নিত হওয়ার পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ম মেনে তা স্যানিটাইজ করারও নির্দেশ দিয়েছিল মন্ত্রক। সেই সকল প্রস্তুতি এ বারও একই থাকছে। চিকিৎসক মহলের একাংশ মনে করছেন, এই পদক্ষেপের ফলে বেডের ঘাটতি কিছুটা হলেও মেটানো সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: দেশে আসতে ঢিলেমি করবে না মৌসুমি বায়ু, স্বস্তি কৃষকদের