Farmer’s Agitation: কেন্দ্রকে এবার চরম হুঁশিয়ারি, সময়সীমা বেঁধে দিলেন কৃষক নেতা
rakesh tikait, কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে কোনওভাবেই দাঁড়ি পড়ছে বরং দিন আরও বেশি করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের (Naredra Modi Government) বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন কৃষকরা। আবারও সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)।
নয়া দিল্লি: ২০২০ সালে অগস্ট মাসে শুরু হয়েছিল, এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নিজেদের দাবিতে অনড় আন্দোলনরত কৃষকরা। বিতর্কিত তিনটি কৃষি বিল (Farmers’s Bill) প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও নিজেদের অবস্থানেই রয়েছেন তারা কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে কোনওভাবেই দাঁড়ি পড়ছে বরং দিন আরও বেশি করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের (Naredra Modi Government) বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন কৃষকরা। আবারও সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)। সরকারকে রীতিমত হুমকির সুরে সতর্ক করে তিনি জানিয়েছেন আগামী ২৬ নভেম্বর মধ্যে আইন তিনটি প্রত্যাহার করা না হলে দিল্লি সীমান্তে (Delhi border) আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়বে।
আজ সোমবার, টুইটারে টিকায়েত লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে, তারপরে ২৭ নভেম্বর থেকে কৃষকরা আশেপাশের গ্রাম থেকে ট্রাক্টরে করে দিল্লি সীমান্তের বিক্ষোভস্থলে পৌঁছে যাবে এবং তাদের উপস্থিতি এই নিজের দাবির স্বপক্ষে এই প্রতিবাদকে শক্তিশালী করবে।” টিকায়েতের এই টুইটটি সামনে আসার পর থেকে নতুন করে কৃষক আন্দোলন নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে।
এই নিয়ে পর পর দুদিন সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল টিকায়েতের গলায়। রবিবার টিকায়েত জানিয়েছিলেন, সিংঘু সীমান্ত (Singhu Border) থেকে সরকার যদি তাদের বল প্রয়োগ করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তার ফলাফল ভাল হবে না। তিনি বলেছিলেন, যদি সরকার সেখান থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের জোর করে সরিয়ে তবে সরকারের সব দফতরকে তারা সবজি বাজারে পরিণত করবেন। টিকায়েত জানান, যদি প্রশাসন, বিক্ষোভের জায়াগায় তৈরি করা তাঁবু নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে থানা ও জেলা শাসকের কার্যালয়ে সেই তাঁবু পুনরায় স্থাপন করা হবে। তাঁকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানায় সংবাদ সংস্থা এএনআই।
হাজার হাজার কৃষক গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে টিকরি, সিংগু এবং গাজিপুর এই তিনটি সীমান্তে বিতর্কিত তিনটি কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কৃষকদের দাবি এই আইন তাদের স্বার্থ বিরোধী অন্যদিকে সরকারের দাবি কৃষকদের ভালর জন্যই এই আইন নিয়ে আসা হয়েছে। বারবার সরকার ও আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে আলোচনা হলেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। এই আইন তিনটি প্রত্যাহারের জন্য অনড় তারা। বিজেপি পরিচালিত সরকার এই আইন তুলে না নিয়ে আগামী দিনে বিজেপির বিরুদ্ধে সব রাজ্যে ভোটের সময় তারা প্রচার করবেন বলেও জানিয়েছিলেন রাকেশ টিকায়েত।
আরও পড়ুন Yogi Adityanath: তালিবান ভারতের দিকে এক পা বাড়ালেই বিমান হানা হবে, বললেন যোগী