AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

১৯ দিনের সন্তানকে খাওয়াতে গিয়ে মায়ের চক্ষু চড়কগাছ, নার্সারি ওয়ার্ডেই শিশুর পায়ের অংশ খেয়ে গেল ইঁদুর

ঘটনার দায়ভার এড়াতে তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কর্তব্যরত নার্সকে সাসপেন্ড ও দুই সাফাইকর্মী, এক নিরাপত্তারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয় মঙ্গলবারই।

১৯ দিনের সন্তানকে খাওয়াতে গিয়ে মায়ের চক্ষু চড়কগাছ, নার্সারি ওয়ার্ডেই শিশুর পায়ের অংশ খেয়ে গেল ইঁদুর
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: May 19, 2021 | 10:57 AM
Share

ভোপাল: নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তান প্রসব করায় হাসপাতালেই বিশেষ যত্নে রাখতে হয়েছিল একরত্তি শিশুকে। ১৯ দিনের সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য কোলে নিতেই অবাক মা-বাবা। পা থেকে বেরচ্ছে রক্ত, গায়েব একটি আঙুল। গোড়ালিতেও দাঁতের কামড় দেখে বুঝতে পারলেন ইঁদুরের কামড়ে এই হাল হয়েছে শিশুর। এ দিকে, দায় এড়াতে তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই সাফাইকর্মী ও এক নিরাপত্তা রক্ষীকে বরখাস্ত করে। সাসপেন্ড করা হয়েছে এক নার্সকেও।

প্রিয়াঙ্কা ও কিষাণ দাইমার একমাত্র সন্তান অপরিণত অবস্থায় জন্ম গ্রহণ করায় মধ্য প্রদেশের ইন্দোরের সরকার পরিচালিত মহারাজা যশবন্ত রাও হাসপাতালের নার্সারি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। ১৯ দিনের সদ্যেজাতের মা সোমবার রাতে সন্তানকে সন্তানকে খাওয়াতে গিয়েই পা থেকে রক্ত বের হতে দেখেন। তারপরই বুঝতে পারেন যে ইঁদুরের কামড়ে তাঁর সন্তানের এই হাল হয়েছে।

বাচ্চাটির বাবা কিষাণ দাইমা বলেন, “সোমবার রাত তিনটে নাগাদ আমার স্ত্রী খাওয়াতে গিয়ে জানতে পারে যে ইদুর এসে ওর পায়ের আঙুল ও পাতা খাচ্ছিল। এখন আমার সন্তানের পায়ের পাতাই নেই। প্রিয়াঙ্কা নিজে গিয়ে হাসপাতালের কর্মীদের খবর দেওয়ার পর তাঁরা আমার সন্তানের পায়ের ড্রেসিং করে। যখন ইঁদুর কামড়াচ্ছিল, তখন কোথায় ছিলেন তাঁরা?”

ঘটনার দায়ভার এড়াতে তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কর্তব্যরত নার্সকে সাসপেন্ড ও দুই সাফাইকর্মী, এক নিরাপত্তারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয় মঙ্গলবারই। একইসঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীকে যে সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল, সেই সংস্থাকেও এক লক্ষ টাকার জরিমানার নোটিস পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপার ডঃ পিএস ঠাকুর জানান, গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যেই তাঁরা রিপোর্ট জমা দেবে। শিশুটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, “শিশুটি প্রাথমিক চিকিৎসার পর বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসা করছে।”

এ দিকে, গোটা বিষয়টি জানতে পেরেই মধ্য প্রদেশের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি নরেন্দ্র কুমার জৈন ইন্দোরের বিভাগীয় কমিশনার ও স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম অধিকর্তাকে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News Live: সংক্রমণের মাঝে স্বস্তি, হাজারও পার করল না মুম্বইয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, দিল্লিতে ফাঁকা হাসপাতালের শয্যা