সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে ফের রেপো ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিতই রাখল আরবিআই

দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও নগদ অর্থের জোগানে ভারসাম্য বজায় রাখতে মার্চ মাসে রেপো রেট ও রিভার্স রেট যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ৩.৩৫ শতাংশে কমানো হয়েছিল। তারপর থেকে পাঁচবার মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে ফের রেপো ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিতই রাখল আরবিআই
আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Jun 04, 2021 | 12:27 PM

নয়া দিল্লি: করোনার ধাক্কায় ফের একবার অপরিবর্তিতই থাকল রেপো ও রিভার্স রেপো রেট। করোনা মহামারীর প্রভাবে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াতে যতদিন সময় লাগে, ততদিন অবধি ঋণ দেওয়ার হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া তিনদিনের মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের পরই রিজার্ভ ব্যাহ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে দেশ যখন লড়াই চালাচ্ছে, দেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। সেই কারণেই রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিতই রাখা হচ্ছে।” বর্তমানে রেপো রেট ৮ শতাংশ ও রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশে রয়েছে।

উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তাঁকে রেপো রেট বলে। অন্যদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে অন্যান্য ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নেয়, তাকে রিভার্স রেপো রেট বলে।

গতবছর করোনা সংক্রমণ আছড়ে পড়ার পরই মার্চ মাসে রেপো রেট ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দেওয়া হয়। দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও নগদ অর্থের জোগানে ভারসাম্য বজায় রাখতে রেপো রেট ও রিভার্স রেট যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ৩.৩৫ শতাংশে কমানো হয়েছিল। তারপর থেকে পাঁচবার মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার আরবিআইয়ের তরফে চলতি অর্থবর্ষে জিডিপির বৃদ্ধি ৯.৫ শতাংশ হতে পারে। আগের বৈঠকে এই বৃদ্ধির পূর্বাভাস ১০.৫ শতাংশ করা হলেও করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়েছে, সেই কারণেই জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাসেও বদল এসেছে।

গত সপ্তাহেই কেন্দ্রের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানানো হয় যে গত অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে জিডিপির সংকোচন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৩ শতাংশে। তবে কৃষি ক্ষেত্রে ক্রমাগত বৃদ্ধি, স্বাভাবিক বর্ষার পূর্বাভাস ও বিশ্বের অর্থনীতি ভারতকে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: গুগল সার্চে ‘ভারতের কুরুচিপূর্ণ ভাষা’ কন্নড়! বিক্ষোভের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইল গুগল কর্তৃপক্ষ