Sikkim Disaster: সিকিমে ফের লেক ফাটার আশঙ্কা, বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরাচ্ছে প্রশাসন

সাকো চো হ্রদ প্রায় ১.৩ কিলোমিটার লম্বা। এর থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে রয়েছে থাঙ্গু। এ ছাড়াও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি এলাকায় বসতি রয়েছে। এই হ্রদে বিপর্যয় নেমে আশার আশঙ্কায় বুধবার থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে সিকিম প্রশাসন।

Sikkim Disaster: সিকিমে ফের লেক ফাটার আশঙ্কা, বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরাচ্ছে প্রশাসন
সিকিমের থাঙ্গু এলাকার ম্যাপভিউImage Credit source: Google Map
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2023 | 10:31 AM

গ্যাংটক: দক্ষিণ লোনক হ্রদ ফেটে বিপর্যয় ঘনিয়ে এসেছে সিকিমের বুকে। হ্রদ ফাটায় হড়পা বান আসে তিস্তা নদীতে। এর জেরে শতাধিক নিখোঁজ এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। হিমালয়ের কোলের এই রাজ্যে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারের কাজও চলছে। এই পরিস্থিতিতেই ফের সিকিমে বিপর্যয়ের আশঙ্কা। সিকিমের মানগান জেলায় রয়েছে সাকো চো হ্রদ। সেই হ্রদ ফেটে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সতর্কবার্তা পেয়েই ওই লেকের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গ্যাংটকের জেলা শাসক ইতিমধ্যেই এ নিয়ে একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন। এই আশঙ্কা সত্যি হলে সিকিমের বুকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

সাকো চো হ্রদ প্রায় ১.৩ কিলোমিটার লম্বা। এর থেকে মাত্র ২১ কিলোমিটার দূরে রয়েছে থাঙ্গু। এ ছাড়াও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি এলাকায় বসতি রয়েছে। এই হ্রদে বিপর্যয় নেমে আশার আশঙ্কায় বুধবার থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে সিকিম প্রশাসন। গ্যাংটক জেলার সিংটামের গোলিতার এলাকা, মানগন জেলার ডিকচু এলাকা, রংপো আইবিএম এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে গ্যাংটকের জেলাশাসক তুষার নিখারে জানিয়েছেন, উপগ্রহের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, সাকো চো লেকের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। তাই তাপমাত্রা যে এতেই স্থির থাকবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। বৃহস্পতিবার সকালে ওই লেকের পরিস্থিতি ফের খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই আশঙ্কা থেকে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলাশাসক বলেছেন, “সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে আমরা ওই লেকের আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ করে যদি সেখানে বিপর্যয় আসে তাহলে ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।” এর পাশাপাসি সেখানে থাকা একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রও কোনও রকম বিপর্যয় এলে তা মোবালিকার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।