Right to divorce: বিয়ের মতোই বিচ্ছেদও মৌলিক অধিকার, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল আইনজীবী ইন্দিরার
Right to divorce a fundamental right: বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার, কোনও ব্যক্তির মৌলিক অধিকার বলে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে যুক্তি দিলেন সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং।
নয়া দিল্লি: বিবাহ করার অধিকার এবং বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯-এর ১-এর গ ধারা এবং অনুচ্ছেদ ২১-এর অধীনে জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের আওতায় থাকা উচিত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে এমনই সওয়াল করেছেন সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তিনি আরও বলেছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মতি না থাকলেও, কার দোষে কী কারণে বিচ্ছেদ হচ্ছে, তা পরীক্ষা করারও দরকার নেই।
বৃহস্পতিবার, আইনের একগুচ্ছ সাধারণ প্রশ্নের বিষয়ে শুনানি চলছিল সাংবিধানিক বেঞ্চে। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কওল, সঞ্জীব খান্না, এ.এস. ওকা, বিক্রম নাথ এবং জে.কে. মহেশ্বরী। আদালতকে সহায়তা করার জন্য আদালত বন্ধু হিসেবে ছিলেন ইন্দিরা জয়সিং। বিবাহ ভেঙে দেওয়ার জন্য আদালত অনুচ্ছেদের ১৪২-এর অধীনে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে কি না, এই ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগ করার পরিমিতিগুলি কী কী – এই ধরণের প্রশ্ন উঠে আসে শুনানিতে। বিবাহ এবং বিচ্ছেদ – দুটিই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১ অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত বলে দৃঢ় যুক্তি দেন ইন্দিরা জয়সিং।
সিনিয়র আইনজীবী বলেন, “বিবাহ করার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। কারণ এটি সংযোগ গঠনের অধিকারের অংশ। এই অধিকারকে বিবাহ বন্ধন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অধিকার পর্যন্ত প্রসারিত করা যেতে পারে। আমার মতে বৈবাহিক সম্পর্কে প্রবেশ করা এবং তা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অধিকার মৌলিক অধিকার। অনেক জায়গায় এমন আইন আছে, যেখানে কেউ একতরফা বিবাহবিচ্ছেদ করতে পারে। এখানে একজন মধ্যস্থতাকারী, অর্থাৎ, আদালত রয়েছে। তাই আমাদের উচিত এই ক্ষেত্রে আদালতের ভূমিকা স্থির করা।”
বৈবাহিক বিরোধের ক্ষেত্রে আদালতের ভূমিকা আরও সীমিত করার প্রস্তাবও দিয়েছেন ইন্দিরা জয়সিং। তিনি জানান, আদালতের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত দুই পক্ষের মধ্যে পুনর্মিলনের চেষ্টা করা। তিনি বলেন, “জনস্বার্থে এবং শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থে আইন আদালত পুনর্মিলনের চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু মানসিক দিক থেকে যদি সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে বিবাহ ভেঙে দিলে দুটি মানুষ তাঁদের বাকি জীবনে সেরাটা করার সুযোগ পাবেন।”
বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কার দোষ বা কী কারণে বিচ্ছেদ হচ্ছে সেগুলিও বিচারব্যবস্থায় অপ্রচলিত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন ইন্দিরা জয়সিং। এই আইনজীবী বলেন, “বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক কারণ চিহ্নিত করা যেতে পারে, কিন্তু তা থেকে সবসময় জানা যায় না যে কোন পক্ষের দোষ ছিল। বিবাহবিচ্ছেদ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পূর্বশর্ত হিসাবে কাউকে দায়ী করাটা অপ্রয়োজনীয়।”