নাড্ডাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মোহন ভাগবত?আসল সত্য খোলসা করলেন RSS কার্যকর্তা
RSS-BJP Controversy: সম্প্রতিই লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছিলেন, দল দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এখন দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তার সংঘের প্রয়োজন নেই। বিজেপি নিজের মতো করে সব কাজ করতে সক্ষম।
নয়া দিল্লি: বিজেপি-আরএসএসের মধ্যে কি দূরত্ব তৈরি হচ্ছে? লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই কখনও সংঘের সদস্যদের বক্তব্য, কখনও বিজেপির নেতাদের মন্তব্য নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধানের বক্তব্য নিয়েও তৈরি বিতর্ক। আরএসএস নিয়ে জেপি নাড্ডার মন্তব্যকে নাকি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও আরএসএসের সদস্য সুনীল আম্বেদকর জানান, “এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সরসংঘচালক এমন কোনও মন্তব্য করেননি।”
এ দিন সুনীল আম্বেকর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “দৈনিক জাগরণে প্রকাশিত এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গোরক্ষপুরে সরসংঘচালক এমন কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি বর্তমানে দেশজুড়ে প্রশিক্ষণ শিবিরে রয়েছেন।”
दैनिक जागरण में प्रकाशित यह समाचार पूर्णतः निराधार है। पूजनीय सरसंघचालक जी ने गोरखपुर में कोई सार्वजनिक वक्तव्य नहीं दिया है। वे वर्तमान में संघ के अंतर्गत प्रशिक्षण कार्यक्रम हेतु देशव्यापी प्रवास पर हैं।https://t.co/SHsJwdAcEt
— Sunil Ambekar (@SunilAmbekarM) June 17, 2024
কী নিয়ে বিতর্ক?
সম্প্রতিই লোকসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছিলেন, দল দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এখন দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তার সংঘের প্রয়োজন নেই। বিজেপি নিজের মতো করে সব কাজ করতে সক্ষম।
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই নাকি সম্প্রতি গোরক্ষপুরে প্রশিক্ষণ শিবিরে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “আমাদের দেশে প্রতিটি নাগরিকের খোলাখুলি মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর বক্তব্যকে দল ও সংগঠনের নীতির সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়োজন নেই।”
পরোক্ষভাবে বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও নাকি প্রশ্ন তুলেছিলেন মোহন ভাগবত। দৈনিক জাগরণে প্রতিবেদনে দাবি, মোহন ভাগবত বলেছেন যে আরএসএস আদর্শগতভাবে কাজ করে। রাজনৈতিক বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই। শুধুমাত্র সংগঠনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
মোহন ভাগবত স্বেচ্ছাসেবকদের হিন্দু ধর্ম থেকে অন্য কোনও ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়ে খুব সংবেদনশীল হতে বলেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তিনি নাকি বলেছিলেন ধর্মান্তরিত হওয়ার তথ্য পেলে আতঙ্ক ছড়ানো বন্ধ করুন। যারা ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাদের কারণ খুঁজে বের করে সেই কারণগুলি দূর করার কাজ করতে হবে। হিন্দু ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া ঠেকাতে স্বেচ্ছাসেবকদের সতর্ক করার পাশাপাশি হিন্দু ধর্মে যোগদান করতে ইচ্ছুকদের পথ সহজ করার পরামর্শ দেন তিনি।