PM Modi: খাবারের খরচ নিজেই দেন প্রধানমন্ত্রী, সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হয় না একটা টাকাও

নিজের টাকাতেই নিজের খাবারের খরচ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

PM Modi: খাবারের খরচ নিজেই দেন প্রধানমন্ত্রী, সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হয় না একটা টাকাও
সংসদের ক্যান্টিনে ভেজ থালি খেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2022 | 6:09 PM

নয়া দিল্লি: খাবারের খরচ নিজেই বহন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি বাজেট থেকে এই বাবদ একটি টাকাও খরচ হয় না। সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পান। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য এরকম কোনও সুবিধার ব্যবস্থা নেই। তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় করা এক প্রশ্নের জবাবে, এমনটাই জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব বিনোদ বিহারী সিং এই আরটিআই-এর জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যাদের সামর্থ্য আছে তাঁদের নিজেদের খরচ বহন করার সঙ্গে সঙ্গে অসহায়দেরও সাহায্য করা উচিত। তিনি নিজেও সেই নীতি অনুসরণ করেন।

আরটিআই-এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর খাবারের দাম কত? উত্তরে জানানো হয়েছে, প্রদানমন্ত্রীর খাবারের পিছনে কোনও সরকারি খরচ নেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের খরচ দেয় গণপূর্ত বিভাগ। যানবাহনের খরচের দায়িত্ব বহন করে এসপিজি বা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ। আরটিআই-এ প্রধানমন্ত্রীর বেতন ওভাতা সংক্রান্ত তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে, এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দেয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তার বদলে শুধুমাত্র বেতন সংক্রান্ত নিয়ম উল্লেখ করে, বেতন বৃদ্ধির তথ্য দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রথমবার সংসদেও পা রেখেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ২ মার্চ সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন সংসদ ভবনের দোতলায় ক্যান্টিনে খেতে চলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। সেই প্রথম দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদের ক্যান্টিনে খেতে এসেছিলেন। নিরামিষ থালির জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজের পকেট থেকেই ২৯ টাকা দিয়েছিলেন।

সংসদের ক্যান্টিনের খাবার নিয়ে মোদী সরকার বেশ কিছু সংস্কারও করেছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি সংসদের ক্যান্টিনে খাবার জন্য সাংসদরা যে ভর্তুকি পেতেন, তা বাতিল করেছিলেন। ২০২১ সালের আগে, সংসদের ক্যান্টিনে এই ভর্তুকি বাবদ বছরে ১৭ কোটি টাকা করে ব্যয় হত। সংসদের ক্যান্টিনের খাদ্য-পানীয়ের দাম ছিল অত্যন্ত সস্তা। তবে সাংসদরা নিজেদের খাবারের দাম দিতে সক্ষম ধরে নিয়ে ওই ভর্তুকি বাতিল করা হয়েছিল। একইভাবে, গ্যাস সিলিন্ডারের দামে যে গণ হারে ভর্তুকি দেওয়া হতো, তাও মোদী সরকারের আমলে বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে যারা গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন, তাঁরাই গ্যাস ভর্তুকিকৃত দামে সিলিন্ডার পান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পোশাকের খরচ নিয়েও আরটিআই-এর আওতায় প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সেই সময় জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর পোশাকের ব্যয় বহন করেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে আরও বিভিন্ন বিষয়ে আরটিআই-প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে। কখনও প্রশ্ন করা হয়েছে, ২০১৫ সালে টুইটারে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী কতগুলি টুইট করেছেন? এছাড়া প্রশ্ন করা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কত দিন ছুটি নিয়েছেন, কতবার বিদেশ সফর করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা কারা লেখেন এবং তাতে কত খরচ হয়।