কৃষকদের ‘হেনস্থা’ বন্ধ না হলে কোনও আলোচনা নয়, জানাল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা

বারবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া ও বহু টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়ে "সরাসরি গণতন্ত্রে আক্রমণ করা হচ্ছে" বলেও অভিযোগ জানান কৃষকরা। তাঁরা বলেন, "আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ও আন্দোলনকারীদের ঢল দেখে সরকার ভয় পেয়েই এইধরনের পদক্ষেপ করছে"।

কৃষকদের 'হেনস্থা' বন্ধ না হলে কোনও আলোচনা নয়, জানাল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা
কাঁটাতারে ঘিরে ফেলা হয়েছে সীমান্ত। ছবি: রাহুল গান্ধীর টুইটার।
Follow Us:
| Updated on: Feb 02, 2021 | 6:31 PM

নয়া দিল্লি: সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের পুলিশ ও প্রশাসন হেনস্থা করা বন্ধ না করলে কোনও বৈঠক হওয়া সম্ভব নয়, মঙ্গলবার এমনটাই জানাল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Samyukt Kisan Morcha)। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন বিশৃঙ্খলার ঘটনার পরই দিল্লির তিন সীমান্তে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

আজ সকালেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দিল্লি সীমান্তের কয়েকটি ছবি টুইট করেন। সেখানে দেখা যায়, কংক্রিটের ব্যারিকেড, কাঁটাতার, পেরেক দিয়ে দিল্লির সীমান্তকে কার্যত আন্তর্জাতিক সীমান্তে পরিণত করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। এই ঘটনাতে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী কৃষকরাও।

আজ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, “রাস্তা কেটে, কাঁটাতারের বেড়াজাল দিয়ে, রাস্তায় পেরেক পুঁতে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কৃষকদের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ চালাচ্ছে সরকার। পুলিশ, রাজ্য প্রশাসন ও বিজেপি-আরএসএস কর্মচারীদের সাহায্যে এই হামলা চালানো হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: কেন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কোভিড মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ভারতে? ব্যাখ্যা কেন্দ্রের

বারবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া ও বহু টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়ে “সরাসরি গণতন্ত্রে আক্রমণ করা হচ্ছে” বলেও অভিযোগ জানান কৃষকরা। তাঁরা বলেন, “আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ও আন্দোলনকারীদের ঢল দেখে সরকার ভয় পেয়েই এইধরনের পদক্ষেপ করছে”।

এরপরই তাঁরা বলেন, “সোমবারের বৈঠকে স্থির করা হয়েছে যতক্ষণ না সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে নানাভাবে কৃষকদের হেনস্থা বন্ধ না করা হবে, ততক্ষণ অবধি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও আলোচনা সম্ভব নয়। এখনও অবধি সরকারের তরফে আলোচনার জন্য কোনও প্রস্তাব না দেওয়া হলেও আমরা স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছি যতদিন কৃষকদের পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হবে না, ততদিন কোনও আলোচনায় বসা হবে না।”

গত ২২ জানুয়ারি কেন্দ্র ও কৃষকপক্ষ শেষবারের মতো আলোচনায় বসে। একাদশতম বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় কেন্দ্রের তরফে আগামী বৈঠকের জন্য কোনও দিনঘোষণা করা হয়নি। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভাড়েকর (Prakash Javadekar) বলেন, “কেন্দ্র কখনওই বলেনি কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার দরজা বন্ধ। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী আলোচনায় বসা হবে।”

শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-ও সর্বদলীয় বৈঠকে জানান, কেন্দ্র এখনও এক থেকে দেড় বছরের জন্য কৃষি আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিচ্ছে। যদি কৃষকরা আলোচনা করতে চান, তবে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra singh Tomar)-কে একটি ফোন করলেই হবে।

আরও পড়ুন: ৪ মে থেকে শুরু হচ্ছে সিবিএসই পরীক্ষা, ফল প্রকাশ ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে