কেন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কোভিড মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ভারতে? ব্যাখ্যা কেন্দ্রের

প্রতি ১০ লক্ষ করোনা আক্রান্তে ভারতের মৃত্যুহার ১১২।

কেন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কোভিড মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ভারতে? ব্যাখ্যা কেন্দ্রের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 02, 2021 | 5:36 PM

নয়া দিল্লি: দেশে কেরোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করেছে ১ কোটি ৭ লক্ষ। চলছে গণ টিকাকরণ। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে ভারতে কোভিড সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও প্রতি ১০ লক্ষে মৃত্যুহার ভাবাচ্ছে কেন্দ্রকে। কেন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের থেকে ভারতে করোনায় মৃত্যুহার (COVID-related deaths) সবচেয়ে বেশি? মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বিরোধীদের এই প্রশ্নের লিখিত জবাব দিল কেন্দ্র। তাতে কী কারণ দর্শানো হয়েছে?

এদিন রাজ্যসভায় এক লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবের দাবি, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে করোনায় মৃত্য়হারের সঙ্গে ভারতের তুলনা টানা উচিত নয়। তাঁর মতে, বিভিন্ন দেশের ভৌগলিক অবস্থান, টেস্টিং ও রিপোর্টিং প্রটোকল আলাদা। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের করোনার মৃত্যু হারেরও তারতম্য হতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এটাও মেনে নেন যে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তবে তাঁর কথায়, ” করোনায় প্রতি মিলিয়নে মৃত্যুহারের সঙ্গে অন্য দেশের তুলনা ঠিক নয়। কারণ, এর পিছনে ভিন্ন ভিন্ন ফ্যাক্টর থাকতে পারে।”

আরও পড়ুন: ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে পারে না: রাজনাথ

কী কী সেই ফ্যাক্টর? কেন্দ্র জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশের ভৌগলিক অবস্থান, কেসের ধরন, পর্যবেক্ষণ, টেস্টিং, রিপোর্টিং প্রটোকল ইত্যাদির ফলে বিভিন্ন দেশে করোনার মৃত্য়ুহার একইরকম হয় না। এরপরে করোনা বিধ্বস্ত উন্নত দেশুগুলির ভারতের করোনা পরিস্থিতির তুলনা টানেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণে এখন বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। ভারতের সামনে রয়েছে আমেরিকা। কিন্তু প্রতি ১০ লক্ষ করোনা আক্রান্তে ভারতের মৃত্য়ুহার মাত্র ১১২। সেখানে প্রথম বিশ্বের দেশ আমেরিকায় করোনায় মৃত্যুহার ১ হাজার ৩৪৭। ব্রিটেনে এই মৃত্যুহার ১ হাজার ৩৪৭, স্পেনে ১ হাজার ২৪৭, ব্রাজিলে ১ হাজার ৪৪ এবং রাশিয়ায় ৪৯৫। তাই কোনও দেশের ভৌগলিক অবস্থান ও অন্যান্য প্যারামিটারের উপর করোনায় মৃত্যুহার নির্ভরশীল বলে ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।