India-China Clash: ২০১৭ থেকে বিবাদ, সেই ‘বিতর্কিত’ ডোকলামের কাছে আস্ত গ্রাম গড়ে ফেলল চিন, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

India-China Clash: উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, পাংডা নামক ওই গ্রামে ইতিমধ্যেই চিনা নাগরিকরা বসবাস শুরু করে দিয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়ির বাইরেই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।

India-China Clash: ২০১৭ থেকে বিবাদ, সেই 'বিতর্কিত' ডোকলামের কাছে আস্ত গ্রাম গড়ে ফেলল চিন,  ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে
এই উপগ্রহ চিত্রেই দেখা গিয়েছে চিনা গ্রাম। ছবি:MAXAR
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2022 | 7:15 AM

নয়া দিল্লি: মুখে এক, কিন্তু কাজে আরেক। এমনটাই নীতি নিয়ে চলছে চিন। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকেই চিন ভারতের সুরে সুর মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর কথা বলে এসেছে।  এদিকে, সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র জানান দিচ্ছে অন্য কথা। মাক্সার সংস্থার উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ডোকলামের কাছে একটি আস্ত গ্রাম গড়ে ফেলেছে চিন। ২০১৭ সালে এই এলাকায় কার অধিকার, তা নিয়েই বিরোধে জড়িয়েছিল ভারত ও চিন। সেখানেই চুপিচুপি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে চিন। ভারতীয় সেনার উপরে চাপ বাড়াতেই এই কাজ করেছে চিন, এমনটাই ধারণা কূটনীতিবিদদের। যদিও কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি এখনও অবধি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারত ও চিনের মধ্য়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে ১৬ তম সেনাস্তরীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে রফাসূত্র অধরা থাকলেও যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ভারত-চিন জানায়, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যা মেটাতে দুই দেশই উদ্যোগী। এদিকে এরই মধ্যে সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য৷ উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল, ডোকলাম থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে একটি গ্রাম তৈরি করেছে চিন। বেজিংয়ের তরফে গ্রামটির নাম দেওয়া হয়েছে পাংডা৷  ভুটান সীমান্তের এনেকটাই কাছে অবস্থিত এই গ্রাম, এমনকি ওই গ্রামের কিছু অংশ আসলে ভুটানের জমি, এমনটাই সূত্রের খবর।

চিনের তৈরি গ্রাম।

উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, পাংডা নামক ওই গ্রামে ইতিমধ্যেই চিনা নাগরিকরা বসবাস শুরু করে দিয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়ির বাইরেই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। আমো চু নদীর পাশে গড়ে ওঠা এই গ্রামে ভুটানের প্রায় ১০ কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই অঞ্চলে জমি দখল করে গ্রাম তৈরি করায় এবার ডোকলাম মালভূমি উপত্যকায় সহজেই যাতায়াত করতে পারবে লাল ফৌজ। শিলিগুড়ি করিডরও ওই অঞ্চল থেকে দৃশ্যমান, ফলে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি বাড়তে পারে।

সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, সমস্ত সীমান্ত, বিশেষ করে যেই অংশগুলির সঙ্গে দেশের সার্বভৌমতা জড়িয়ে রয়েছে, তার নিরাপত্তায় সর্বদা নজরদারি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। প্রয়োজনীয় যাবতীয় সুরক্ষাবিধিও অনুসরণ করা হয়েছে।