Kochi: রাস্তায় বের হলেই চোখ-গলা জ্বালা, মাস্ক পরেও মিলছে না রেহাই! রাতারাতি ‘লকডাউন’ কোচিতে
Kochi Fire: কোচি শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তায় বের হলেই চোখ ও গলা জ্বালা করছে। এমনকী, অনেকের শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। এদিকে, গোটা শহরে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় কেরল সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে বাড়ি থেকে বের হলে সকলে যেন অবশ্যই এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করেন।
কোচি: ঘর থেকে বাইরে বেরোনো দায়। বেরোলেই চোখ-গলা জ্বালা থেকে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। রাতারাতি গ্যাস চেম্বারের পরিণত হয়েছে গোটা শহর। কেরলের (Kerala) কোচিতে (Kochi) বর্জ্য় পদার্থের প্ল্যান্ট বা ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টে আগুন (Fire) লাগার কারণে গোটা কোচি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস। এরজেরে কার্যত লকডাউনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কোচিতে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আগুন লাগে কোচির ওই বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন প্ল্যান্টে (Waste Management Plant)। রাতভর চেষ্টা করেও সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দিনেও আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দমকলকর্মীরা প্রাণপণে চেষ্টা করছেন দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। শহরের বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য যথাসম্ভব বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোচির ব্রহ্মপুরম এলাকায় একটি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টে আগুন লাগে। দাহ্য পদার্থে পরিপূর্ণ হওয়ায় নিমেষেই আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। আকাশে পোড়া প্লাস্টিক ও অন্য়ান্য় বিষাক্ত পদার্থও উড়তে থাকে। যতই শহরের ভিতরে প্রবেশ করে ওই বিষাক্ত গ্য়াস, ততই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন সাধারণ মানুষ।
Kerala cannot keep claiming its No.1 status with such miserably managed urban waste. The citizens of Kochi are at their nerves end, or rather their breaths end with a massive waste dump yard burning for days now. All we hear is filthy political exchange of blame. #Brahmapuram pic.twitter.com/chKPuU3UIK
— Sridhar R {BlueTick} (@Sridhar67) March 5, 2023
কোচি শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তায় বের হলেই চোখ ও গলা জ্বালা করছে। এমনকী, অনেকের শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। এদিকে, গোটা শহরে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় কেরল সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে বাড়ি থেকে বের হলে সকলে যেন অবশ্যই এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি জগিং, মর্নিং ওয়াক করতেও বারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে ২৪/৭ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কোচি ও এর্নাকুলামের স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কার্যত লকডাউনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।