Booster Dose: দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই, দেশে করোনা-উদ্বেগের মধ্যেই বলল কেন্দ্র

বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন আইএমএ-র বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁদের সেই দাবি কার্যত খারিজ করে দিল কেন্দ্র।

Booster Dose: দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই, দেশে করোনা-উদ্বেগের মধ্যেই বলল কেন্দ্র
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2023 | 6:53 PM

নয়া দিল্লি: চিন সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ফের ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনা সংক্রমণ। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতও। কিন্তু, করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ বাড়ালেও দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানাল কেন্দ্রের। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সহ ছয়টি দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন আইএমএ-র বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁদের সেই দাবি কার্যত খারিজ করে দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, আগে আমরা দেশে বুস্টার ডোজ অভিযান সম্পূর্ণ করি।

এখনও পর্যন্ত দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এদিন সকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৪। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২,৫৮২। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হয়েছে, ৪.৪৬ কোটি। অন্যদিকে, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫,৩০,৭০৭।

জানা গিয়েছে, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য চিন সহ দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ে বৈঠক করেছেন। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার পরিষেবা এবং স্ক্রিনিং টেস্ট পরিষেবা নিয়েও আলোচনা করেন। বিমানবন্দরে আগত মোট আন্তর্জাতিক যাত্রীর মাত্র ২ শতাংশের ব়্যানডম কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। মূলত চিন, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ড থেকে আগত যাত্রীদের ১ জানুয়ারি থেকে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র।

অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত দেশের ২২০.১১ কোটি জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে ৯৫.১৩ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ এবং ২২.৪১ কোটি প্রিকশন ডোজ নিয়েছেন।