Karnataka: মহিলাদের হেনস্থা করার অভিযোগে রণক্ষেত্র কর্নাটকের কেরুর! জারি ১৪৪ ধারা
মহিলাদের হেনস্থা করার অভিযোগে বুধবার (৬ জুলাই) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়ে কর্নাটকের বগালকোট জেলার কেরুর টাউন। এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করা হয়, আরও তিনজন আহত হন। শুক্রবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বেঙ্গালুরু: আগুন জ্বলছে কর্নাটকের বগালকোট জেলার কেরুর টাউনে। মহিলাদের হেনস্থা করার অভিযোগে, বুধবার (৬ জুলাই) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। দোকান-বাজার ভাঙচুর, মোটরবাইক-গাড়িতে অগ্নিসংযোগে প্রায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কেরুর টাউন। এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মোট ৪টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কেরুর টাউনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বগালকোট জেলার পুলিশ জানিয়েছে, দুই গোষ্ঠীই অভিযোগ করেছে, তাঁদের মহিলাদের হেনস্থা করেছে অপর গোষ্ঠীর সদস্যরা। এই পারস্পরিক অভিযোগ থেকেই বুধবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি বেধেছিল। সেই কথা কাটাকাটির পারদ বাড়তে বাড়তে এক সময় দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে গিয়েছিল। তবে, পুলিশের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।
তবে, এর কিছু পরই দুই গোষ্ঠীরই সদস্যরা উন্মত্তের মতো এলাকার একের পর এক দোকানে, গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। সংঘর্ষে আরও তিন জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছুরিকাহত ব্যক্তি এখন আপাতত বিপন্মুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে, বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। লাঠিচার্জ করে তারা উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে, রাত কেটে গেলেও এলাকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে হয়ে রয়েছে।
#Kerur, Bagalkote. #karnataka
Two shops set ablaze, market closed, section 144 imposed by DC @PSunilK76638667, after 3 stabbed by other community group over heated discussion on Harassing Girls. https://t.co/eQOCTK4LPs
Update – Town normalising, shops to be remained close. pic.twitter.com/ffosdLJEe9
— Madhu M (@MadhunaikBunty) July 7, 2022
বগালকোট জেলার পুলিশ সুপার জয় প্রকাশ বলেছেন, ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আগামী শুক্রবার (৮ জুলাই) পর্যন্ত ওই কারুর টাউনে ফৌজদারি বিধির ১৪৪ ধারার অধীনে ৫ জনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই দিন পর্যন্ত শহরের সমস্ত স্কুল ও কলেজ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’