AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আইনি নোটিসের মুখে সেরাম, ৩ মাসের মধ্যে প্রয়োজন ৩ হাজার কোটি টাকা!

সেরাম কর্তা আদার পুনাওয়ালা জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যেই টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। আর্থিক ঘাটতির বিষয়েও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে লিখিত আবেদনও জানানো হয়েছে।

আইনি নোটিসের মুখে সেরাম, ৩ মাসের মধ্যে প্রয়োজন ৩ হাজার কোটি টাকা!
আদার পুনাওয়ালা। ছবি:PTI
| Updated on: Apr 07, 2021 | 6:16 PM
Share

নয়া দিল্লি: গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাস (COVID-19) ছড়িয়ে পড়তেই সবাই যখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেই হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেই সময়ই করোনার প্রতিষেধক টিকা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)। দেশের পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তেও পৌঁছে যাচ্ছে “কোভিশিল্ড” (Covishield)। এত কিছুর মাঝেও আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে সংস্থা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সেরাম কর্তা আদার পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)।

সম্প্রতি একটি সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েই সংস্থার প্রধান আদার পুনাওয়ালা বলেন, “ভারতের টিকা চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে কাজ করলেও এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সকল দেশবাসীর জন্য টিকা প্রস্তুত করা কষ্টসাধ্য বিষয়।” তিনি জানান, বর্তমানে সংস্থা প্রতি মাসে ৬ থেকে সাড়ে ৬ কোটি করোনা টিকা প্রস্তুত করছে। এখনও অবধি দেশে মোট ১০ কোটি ও বিদেশে মোট ৬০ কোটি টিকা রপ্তানি করা হয়েছে।

তবে অর্থের অভাবে উৎপাদনে ঘাটতি দেখা গিয়েছে বলে জানান সেরাম কর্তা। তিনি বলেন, “যেখানে টিকার দাম আনুমানিক ১৪৭০ টাকা, সেখানে আমরা ভারতে ১৫০-১৬০ টাকায় করোনা টিকা বিক্রি করছি। কেবলমাত্র মোদী সরকারের অনুরোধেই আমরা ভর্তুকি মূল্যে টিকা বিক্রি করছি। তবে এর কারণে সংস্থায় আর্থিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব টিকা উৎপাদনে পড়ছে। এই ঘাটতি মেটাতে আগামী জুন মাসের মধ্যে তিন হাজার কোটি টাকা দরকার।”

আরও পড়ুন: টিকাকরণে দ্রুততার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ‘সঙ্কট মোচন’ তকমা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মুক্তারের

তিনি জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যেই টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। আর্থিক ঘাটতির বিষয়েও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে লিখিত আবেদনও জানানো হয়েছে। কেন্দ্র এই আবেদন পর্যালোচনা করছে ও আগামী সাতদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও জানা যাবে বলেই জানান আদার পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের কাছ থেকে ঋণ নয়, আর্থিক অনুমোদন চাইছি। এই অনুমোদন পেলেই সংস্থার উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। টাকা পেলেই আগামী দুই মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিনের উৎপাদন দ্বিগুণ করা যাবে।”

তবে ভ্যাকসিনের রপ্তানিতে দেরি হওয়ার কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে যে আইনী নোটিস পাঠানো হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টিকা দেরিতে পৌঁছনোর কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকা আইনী নোটিস পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। তবে এটি গোপনীয় বিষয়ের আওতাভুক্ত হওয়ায় আইনী নোটিসের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো সম্ভব নয়। তবে আমরা সমস্ত দিকই পর্যালোচনা করে আইনী সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে পুনাওয়ালা জানান, যদি কেউ তিন মাসের ব্যবধানে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ় নেন, তবে টিকা ৮০ শতাংশ কার্যকরী হবে বলেই জানা গিয়েছে। এছাড়াও স্কটিশ স্বাস্থ্য ওয়েবসাইটেও বলা হয়েছে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ অবধি কার্যকারিতা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, “দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ১০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পর খুব কম মানুষই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকছেন। পরাীক্ষা করলে দেখা যাচ্ছে ৮-৯ শতাংশ আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। এদের মধ্যে যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁরা কেউই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। টিকা নেওয়ার পরও খুব কম সংখ্যক মানুষের মধ্যেই স্বল্প বা মাঝারি উপসর্গ দেখা গিয়েছে। সুতরাং ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকরী বলাই চলে।”এাীহস ঘল

আরও পড়ুন: ফোর্বসের দেশের ১০ ধনীর তালিকায় শীর্ষে অম্বানী, দ্বিতীয় আদানি, তালিকায় রয়েছেন আর কে কে?