Shantanu Thakur: বঙ্গ বিজেপির ‘হাল ধরার’ অনুরোধ শান্তনুর, বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন লকেট!
Shantanu Thakur: সূত্রের খবর, লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। লকেট চট্টোপাধ্যায় বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
উত্তরাখণ্ড : বঙ্গ বিজেপির অন্দরে অসন্তোষের ছবি সামনে এসেছে আগেই। বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও নেতাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। আর এবার তিনি সেই অসন্তোষের কথা বললেন বিজেপি নেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। কার্যত তাঁকে শান্তনু বঙ্গ বিজেপির হাল ধরার আবেদন জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনি প্রচারে যোগ দিয়ে গিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। আর সেখানেই দলের তরফে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। লকেটের সঙ্গে প্রচারের ফাঁকেই শান্তনু বৈঠক সেরে নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, গেরুয়া শিবিরের বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও শান্তনুকে আশ্বস্ত করেছেন লকেট। তবে এই বিষয়টাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না রাজ্য নেতৃত্ব।
কী কথা হল লকেট- শান্তনুর?
মঙ্গলবারই উত্তরাখণ্ডে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে শান্তনু দেখা করেন, ভাষণও দেন। আর এই প্রচারের ফাঁকেই তিনি কথা বলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দলের মধ্যে তাঁর যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, যে সব কারণে তাঁর ক্ষোভ, সে সবই বিজেপি নেত্রীকে জানিয়েছেন শান্তনু। আরও জানা যাচ্ছে, শান্তনুর কথা শুনে, বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন লকেট। ১৪ তারিখের পর দিল্লিতে গিয়ে তিনি সেই সব নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। লকেট জাতীয় স্তরে দায়িত্ব পেয়েছেন, তাই তাঁর পাশে থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বাংলা থেকে খুব কম নেতা-নেত্রীই জাতীয় স্তরে দায়িত্ব পেয়েছেন। লকেট চট্টোপাধ্যায় যখন সেই দায়িত্ব পেয়েছেন, তখন আমাদের উচিৎ তাঁর পাশে থাকা।’
শান্তনুর বৈঠকের আঁচ ছড়িয়েছে অনেক দূর
বিজেপির অন্দরে মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিদ্রোহের সুর শোনা যাচ্ছে তাঁর গলায়। সেই আঁচ বনগাঁ ছাড়িয়ে পৌঁছেছিল দিল্লি পর্যন্ত। শান্তনু ঠাকুর অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব নিয়ে বৈঠক করবেন বলেও জানা গিয়েছিল। একাধিক হেভিওয়েট ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের সঙ্গে রাজ্য় কমিটি নিয়ে বৈঠকও করেছিলেন বনগাঁর সাংসদ। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল পিকনিক, যার নেতৃত্বে ছিলেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরই মধ্যে শান্তনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নেতা দেবদাস মণ্ডলকে টিকিট দেওয়া হয়েছে বনগাঁ পুরসভা নির্বাচনে। শান্তনুর মন রাখতেই সেই সিদ্ধান্ত কি না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা