Shashi Tharoor: ‘শশী থারুর জিতেগা জরুর’, ৫০ বছর পর ফিরে এল পুরোনো স্লোগান

নয়া দিল্লি: কংগ্রেস সভাপতি পদে মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন শশী থারুর। মাত্র ২০০৯ সালে দলে যোগ দেওয়া থারুরের সামনে লড়াইটা অত্যন্ত কঠিন। গান্ধী পরিবার, এমনকি, জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারাও সমর্থন করছেন খাড়্গেকে। কিন্তু, তারপরও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দিচ্ছেন না তিনি। এই অবস্থায়, প্রায় ৫০ বছর পর ফের ফিরে এল এক পুরোনো স্লোগান ‘শশী থারুর, […]

Shashi Tharoor: 'শশী থারুর জিতেগা জরুর', ৫০ বছর পর ফিরে এল পুরোনো স্লোগান
কলেজের নির্বাচনে জয়ের পর সহপাঠীদের কাঁধে শশী থারুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2022 | 10:36 AM

নয়া দিল্লি: কংগ্রেস সভাপতি পদে মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন শশী থারুর। মাত্র ২০০৯ সালে দলে যোগ দেওয়া থারুরের সামনে লড়াইটা অত্যন্ত কঠিন। গান্ধী পরিবার, এমনকি, জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারাও সমর্থন করছেন খাড়্গেকে। কিন্তু, তারপরও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দিচ্ছেন না তিনি। এই অবস্থায়, প্রায় ৫০ বছর পর ফের ফিরে এল এক পুরোনো স্লোগান ‘শশী থারুর, জিতেগা জরুর’!

গত শনিবার, কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন শশী থারুর। ইস্তাহার প্রকাশ করে কংগ্রেস দলকে পুনর্জীবিত করার জন্য তাঁর পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে শতাব্দী প্রাচীন দলের পক্ষে তাঁর প্রস্তাবিত ধারণাগুলি তাজা বাতাসের মতো। তবে, শেষ পর্যন্ত সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়াটা তাঁর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। একে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মল্লিকার্জুন খাড়্গে একজন দলিত নেতা। তার উপর তাঁর পক্ষে রয়েছে গান্ধী পরিবারের সমর্থন। আনন্দ শর্মা, ভুপিন্দর সিং হুডাদের মতো জি-২৩ নেতারাও খাড়্গের প্রতিই তাঁদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে ৫০ বছর আগের একটি ছবি। তখনও শশী থারুর তাঁর কুটনৈতিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন বা লেখক জীবন শুরু করেননি। ১৯৭০ সালে, তিনি পড়তেন নয়া দিল্লির স্টিফেন্স কলেজে। সেখানে, ছাত্র সংসদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। সেই জয়ের পরের একটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাদা কালো সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহপাঠীদের কাঁধে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী তরুণ শশী থারুরকে। পরণে সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি। এই ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, সেই সময়ের স্লোগানও – “শশী থারুর জিতেগা জরুর”।

৫০ বছর পর সেই স্লোগান ফের সত্যি হবে কি না, তা জানার জন্য এখনও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। ১৭ অক্টোবর হবে ভোটগ্রহণ, আর ১৯ অক্টোবর হবে ভোট গণনা। ওই দিনই জানা যাবে পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতির নাম। শেষ পর্যন্ত তিনি জিতলে ইতিহাস তৈরি হবে। এর আগে গান্ধীদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কেউ জিততে পারেননি। ২২ বছর আগে সনিয়া গান্ধীর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন জিতিন প্রসাদ। কিন্তু, লজ্জাজনক হার হয়েছিল তাঁর। এবার, দীর্ঘ কয়েক দশক পর সভাপতির দৌড়ে নেই গান্ধীরা। তবে, মল্লিকার্জুন খাড়্গে গান্ধীদেরই প্রতিনিধি বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর জায়গায় শশী থারুর নতুন সভাপতি হলে কংগ্রেস দলে সত্যিকারের পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু গান্ধীদের একচেটিয়া সাম্রাজ্যে কি তিনি ভাগ বসাতে পারবেন?