Modi-Hasina Meeting: ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশে হবে ‘মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র’, মোদীর ‘দূরদর্শী নেতৃত্বের’ প্রশংসা করলেন হাসিনা

Maitree Super Thermal Power Project: ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশে তৈরি হতে চলেছে সেই দেশের সবথেকে বড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। মঙ্গলবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি মউ স্বাক্ষর হয়েছে।

Modi-Hasina Meeting: ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশে হবে 'মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র', মোদীর 'দূরদর্শী নেতৃত্বের' প্রশংসা করলেন হাসিনা
যৌথ বিবৃতি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2022 | 2:52 PM

নয়া দিল্লি: ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশে তৈরি হতে চলেছে সেই দেশের সবথেকে বড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। মঙ্গলবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি মউ স্বাক্ষর হয়েছে। সূত্রের খবর, ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশন’টি ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার হতে চলেছে। বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এই তাপবিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করবে। এটি হল ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ৫০:৫০ অংশিদারিত্বের এক যৌথ উদ্যোগ। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিন প্রথমে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে নয়া দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই প্রদানমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়। তারপর দুই প্রধানমন্ত্রী একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “বন্যা প্রশমনে আমরা আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের সাথে বন্যা সংক্রান্ত রিয়েল-টাইম ডেটা শেয়ার করছি এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা করেছি। ক্ষতিকর শক্তিগুলির যৌথভাবে মোকাবেলা করাটা অপরিহার্য।” প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, “এশিয়ার মধ্যে ভারতই, বাংলাদেশের রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার। এই অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত করার জন্য, আমরা শীঘ্রই একটি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ব্যাপক অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করব।”

এদিন দুই দেশের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর জল বন্টন নিয়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। বাংলাদেশি শেখ হাসিনা বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয় এবং এই নদীগুলি দুই দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত। আজ, আমরা কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং আমি ফলপ্রসূ আলোচনার আরেকটি দফা শেষ করেছি। এর ফলাফল উভয় দেশের জনগণকে উপকৃত করবে। আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈঠক করেছি।

হাসিনা আরও বলেন, “আমি মোদীজির দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করি, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গতি প্রদান করে চলেছে। ভারত, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশি। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিবেশি কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। দুই দেশ অনেক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করেছে এবং আমরা আশা করি যে তিস্তার জল বণ্টন চুক্তি-সহ সকল অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। অমৃত কালের নতুন ভোরে, আগামী ২৫ বছরের জন্য আমি আপনাদের শুভকামনা জানাই। কারণ আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত।”