Shraddha Murder Update: ‘মারধরের জন্য সারা শরীরে ব্যথা, বিছানা থেকেই উঠতে পারছি না…’ ম্যানেজারকে এই মেসেজই করেছিলেন শ্রদ্ধা!

Shraddha Murder Update: শ্রদ্ধার প্রাক্তন অফিসের ম্যানেজার করণ বলেন, "২০২০ সালের নভেম্বর মাসে আমি প্রথম গার্হস্থ্য হিংসার কথা জানতে পারি। তাঁর আগেও শ্রদ্ধা একাধিকবার অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিত। হোয়াটসঅ্যাপে একদিন একটা ছবি পাঠিয়েছিল, ওই ছবি দেখে আমিও ভেঙে পড়ি।"

Shraddha Murder Update: 'মারধরের জন্য সারা শরীরে ব্যথা, বিছানা থেকেই উঠতে পারছি না...' ম্যানেজারকে এই মেসেজই করেছিলেন শ্রদ্ধা!
ঘাড় পর্যন্ত ঢাকা চুল, পাতলা চেহারা, হাসি মুখ... শ্রদ্ধা ওয়াকারের সেই পরিণতির গল্প অনেকের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। অথচ নিরুত্তাপ সেই আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুন করার পরও ঠান্ডা মাথায় সবটা সাজিয়েছিলেন তিনি। ধরা পড়ার পর স্বীকারও করে নেন অপরাধের কথা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2022 | 10:37 AM

নয়া দিল্লি: হঠাৎ খুন নয়, আগেও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়াকারকে। প্রেমিক আফতাব কথায় কথায় মারধর করত, এমনটাই জানালেন শ্রদ্ধার সহকর্মীরা। দুই বছর ধরেই শ্রদ্ধার উপরে চলত শারীরিক নির্যাতন। শ্রদ্ধার বন্ধু করণ জানান, শ্রদ্ধা নিজেই মারধোরের কথা জানিয়েছিলেন। আফতাবের পরিবারও এই বিষয়ে জানতেন। শ্রদ্ধা ও আফতাবের মধ্যে আর সম্পর্ক নেই, এমনটাই মনে করেছিলেন শ্রদ্ধার বন্ধুরা। করণ নামক শ্রদ্ধার ওই বন্ধু জানান, বেশ কয়েকবার তিনি শ্রদ্ধাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁর নিয়মিত খোঁজখবর নিতেন।

মুম্বইয়ে থাকাকালীন শ্রদ্ধা যে কল সেন্টারে কাজ করতেন, সেখানে শ্রদ্ধার ম্যানেজার ছিলেন করণ। তিনি বলেন, “শ্রদ্ধা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে জানিয়েছিল সে অফিসে আসতে পারবে না। গতকাল মারধরের কারণে তাঁর ব্লাড প্রেসার কমে গিয়েছে, সারা শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা।”

২০২০ সালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের যে স্ক্রিনশট পুলিশের হাতে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শ্রদ্ধা তাঁর ম্যানেজারকে লিখেছে, “গতকালের মারধরের কারণে আমার সারা শরীরে ব্যথা। আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না।” দিনকয়েক পরের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দেখা যায় শ্রদ্ধা লিখেছিলেন, “গতকাল তাঁর (আফতাব) বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলার পর বিষয়টি মিটমাট হয়ে গিয়েছে। এবার আমাকে শুধু নিশ্চিত করতে হবে যে সে (আফতাব) যেন আজই বাড়ি থেকে চলে যায়।”

২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর শ্রদ্ধার আরেকটি হোয়টসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা যায়, যে বাড়িতে আফতাবের সঙ্গে থাকত শ্রদ্ধা, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করছে। পুলিশ ও মহিলা মন্ডলের কাছে অভিযোগ জানানোর কথাও বলেছিল সে, সঙ্গে নিজের একটা ছবিও পোস্ট করেছিল। ওই ছবিতে তাঁর গালে, গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

শ্রদ্ধার প্রাক্তন অফিসের ম্যানেজার করণ বলেন, “২০২০ সালের নভেম্বর মাসে আমি প্রথম গার্হস্থ্য হিংসার কথা জানতে পারি। তাঁর আগেও শ্রদ্ধা একাধিকবার অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিত। হোয়াটসঅ্যাপে একদিন একটা ছবি পাঠিয়েছিল, ওই ছবি দেখে আমিও ভেঙে পড়ি। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে কেউ কী করে এমন অত্য়াচার করতে পারে। শ্রদ্ধার ডান চোখে আঘাত ছিল, গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে আমি ওর এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করি, সে আমায় জানায় যে শ্রদ্ধার পেটেও পোড়া দাগ ছিল।”

পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ থেকে শ্রদ্ধাকে তাঁর মা ও বোনের সঙ্গে থাকার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ম্যানেজার করণ। তিনি জানতেন শ্রদ্ধা ও আফতাব বিবাহিত , কারণ শ্রদ্ধা আফতাবকে নিজের স্বামী বলেই পরিচয় দিত। তিনি আরও বলেন, “ও (শ্রদ্ধা) পুলিশের কাছে গিয়েছিল, লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিল। এদিকে সেই সময়ই আফতাবের সঙ্গেও কথা হয় শ্রদ্ধার। আফতাব বলেছিল যে শ্রদ্ধা যদি তাঁকে ছেড়ে যায়, তবে সে কিছু একটা করে নেবে। আফতাবের বাড়িতে গিয়েও কথা বলে শ্রদ্ধা। আফতাবকে ওই ভাড়াবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার ও তাঁর সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেছিল শ্রদ্ধা।”