বিক্ষোভের মুখে পড়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল শ্রীলঙ্কার, বিকল্প প্রস্তাবে সায় নেই নয়া দিল্লির

কৌশলগতভাবে ভারত ও চিন উভয়ের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কা

বিক্ষোভের মুখে পড়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল শ্রীলঙ্কার, বিকল্প প্রস্তাবে সায় নেই নয়া দিল্লির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2021 | 3:10 PM

নয়া দিল্লি: ভারত মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থান শ্রীলঙ্কার। তাই কৌশলগতভাবে ভারতের কাছে এই প্রতিবেশী যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, চিনও ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের ক্ষেত্রে এই দ্বীপ রাষ্ট্রকে অনেকটাই গুরুত্ব দেয়। শ্রীলঙ্কার একের পর এক প্রজেক্টে টাকা ঢেলেছে বেজিং, যা ভারতের কাছে উদ্বেগের। এবার ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল শ্রীলঙ্কা, যা মোটেই ভাল চোখে দেখছে না ভারত।

শ্রীলঙ্কার বন্দর তৈরিতে বিনিয়োগ করবে ভারত ও জাপান, আর সেই প্রজেক্টের ৪৯ শতাংশ শেয়ার থাকবে ভারত ও জাপানের হাতে। দক্ষিণের প্রতিবেশীর সঙ্গে এমনই চুক্তি হয়েছিল ভারতের। কিন্তু দেশের মধ্যে বিক্ষোভের আবহ এতটাই চরমে পৌঁছয় যে সেই চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হল রাজাপক্ষ সরকার।

আরও পড়ুন: অ্যামাজনের ‘চিফ এগজ়িকিউটিভ’ পদ থেকে সরে যাচ্ছেন জেফ বেজ়োস

শ্রীলঙ্কার ‘ইস্ট কন্টেনার টার্মিনাল’ প্রোজেক্টের কাজই যৌথভাবে করার কথা ছিল ভারত ও জাপানের। কিন্তু মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা সরকার সেই চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। পাশাপাশি, তার বদলে অন্য একটি বন্দর তৈরির চুক্তিতে ভারতকে অংশ নেওয়ার কথা বলে। কিন্তু বন্দর তৈরির প্রথম চুক্তি এভাবে বাতিল হয়ে যাওয়ায় নতুন প্রস্তাবে আমল দিতে চাইছে না ভারত। ‘ইস্ট কন্টেনার টার্মিনালে’র বদলে ওয়েস্ট কন্টেনার টার্মিনাল তৈরির অফার দেওয়া হয়েছে ভারতকে।

আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ডিনার বাদ দেবেন না, বরং মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম

চুক্তি অনুযায়ী, ইস্ট কন্টেনার টার্মিনাল যৌথভাবে তৈরি করার কথা ছিল ভারত, জাপান ও শ্রীলঙ্কার। সেখানে ৪৯ শতাংশ শেয়ার থাকত ভারত ও জাপানের হাতে এবং সিংহ ভাগ শেয়ার থাকত শ্রীলঙ্কার হাতে। কিন্তু রাজাপক্ষ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ভাল চোখে দেখছিল না সে দেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলো। তাদের দাবি, বন্দরের ১০০ শতাংশ শেয়ার থাকা উচিত কলম্বোর হাতেই। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজোট হয় সে দেশের ২৩ টি ট্রেড ইউনিয়ন। আর সেই সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে সমর্থন করে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলগুলিও। এমনকি শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতার সমর্থনও ছিল এই বিক্ষোভে, আর তাতেই আরও জোরদার হয় আন্দোলন।

২০১৯-এ ভারত, জাপান ও শ্রীলঙ্কার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের আদানি গ্রুপের হাতে ছিল দায়িত্ব। এই চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চুক্তি যাতে দ্রুত কার্যকর হয়, সেটাই চেয়েছিল ভারত। বদলে যে প্রোজেক্টের কথা বলা হচ্ছে, ভারত তাতে কোনও উৎসাহ দিচ্ছে না এখনই। ওই অফারকে একতরফা বলেই উল্লেখ করছে কেন্দ্র।