New parliament building: ময়ূরের আদলে লোকসভা! নয়া সংসদ ভবনে থাকছে এই চমকে দেওয়া বৈশিষ্টগুলি
New parliament building: নয়া সংসদ ভবনে থাকছে আকর্ষণীয় সব বৈশিষ্ট। দেখে নিন এক নজরে।
নয়া দিল্লি: রবিবার (২৮ মে), নয়া দিল্লিতে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুরোনো সংসদ ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল ১৯২৭ সালে। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন ভবনটি অতি ব্যবহারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে, সাংসদদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করার স্থানাভাব এবং ওই ভবনটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপনের অসুবিধা থাকার কারণেই নয়া ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরোনো ভবনটিতে লোকসভায় আসন ছিল ৫৪৩টি আর রাজ্যসভায় ২৫০টি। নয়া ভবনে লোকসভার আসন সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ৮৮৮ আর রাজ্যসভার আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৮৪-তে। এরকমই আরও বিভিন্ন নতুন বৈশিষ্ট রয়েছে নতুন ভবনটিতে। আসুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি –
– ৬৪,৫০০ স্কোয়ার মিটার জায়গার উপর তৈরি হয়েছে নতুন সংসদ ভবনটি।
– পুরোনো ভনটি ছিল বৃত্তাকার, নয়া ভবনটি ত্রিভুজাকার। আয়তনে পুরোনো ভবনটির থেকে ১০ শতাংশ ছোট। লোকসভা, রাজ্যসভার পাশাপাশি সেন্ট্রাল লাউঞ্জ এবং সংসদীয় কর্তৃপক্ষের কার্যালয় থাকবে।
– নয়া লোকসভা কক্ষটির নকশা তৈরি করা হয়েছে জাতীয় পাখি ময়ূরের আদলে। আর রাজ্যসভা কক্ষটি নকশা করা হয়েছে জাতীয় ফুল পদ্মের আদলে।
– সামগ্রিকভাবে, নয়া ভবনটিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের মতো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যশালী ভবনের স্থাপত্যকীর্তির প্রতিফলন থাকছে।
– ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে, সংসদ ভবনটির অন্দরসজ্জায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পকর্ম ব্যবহার করা হবে।
– লোকসভা এবং রাজ্যসভার গ্যালারি সহ, ছয়টি আনুষ্ঠানিক প্রবেশদ্বার এবং জনসাধারণের প্রবেশপথে ঈগল, হাতি, ঘোড়া, এবং কুমিরের ভাস্কর্য প্রদর্শিত হবে।
– মূল ভবনটির তিনটি প্রবেশ দ্বার থাকছে, সেগুলির নাম – জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার এবং কর্ম দ্বার।
– অন্তত ৮০০ সাংসদের কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে সংস্কারকৃত শ্রম শক্তি ভবনে। ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
– পুরনো সংসদ ভবনটিতে যেখানে তিনটি কমিটি কক্ষ ছিল, সেখানে নতুন ভবনটিতে এই রকম ছয়টি কক্ষ থাকছে।
– মন্ত্রী পরিষদের ব্যবহারের জন্য থাকছে ৯২টি কক্ষ।
– লোকসভা এব রাজ্যসভা – উভয় কক্ষেই একটি বেঞ্চে পাশাপাশি দুইজন করে সাংসদ বসতে পারবেন। প্রতিটি আসনে থাকছে ডিজিটাল সিস্টেম এবং টাচ স্ক্রিনের মতো আধুনিক সুবিধা।
– নয়া ভবনের লোকসভা এবং রাজ্যসভার ওয়েলটি আসনের প্রথম সারির থেকে অন্তত একফুট নীচে থাকছে। তাই, সেখানকার দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়বে না।
– দুই কক্ষেই অধ্যক্ষদের আসনগুলি আগের তুলনায় বেশ উঁচুতে রাখা হচ্ছে।
– দুই কক্ষের সদস্যদের জন্যই একটি মুক্ত বৈঠকস্থল হিসেবে একটি কেন্দ্রীয় চত্ত্বর থাকছে নতুন সংসগ ভবনে।
– উন্নতমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপযোগী করেই নয়া ভবনটির নকশা করা হয়েছে।
– নয়া ভবনটিতে ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে তুলে ঘরতে একটি কনস্টিটিউশন হল থাকবে। এছাড়া, গ্রন্থাগার, ডাইনিং রুম এবং সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি রাখার জায়গা থাকছে।
– বৃষ্টির জল ধরে রাখার এবং জল রিসাইকল করার ব্যবস্থাও থাকছে নয়া সংসদ ভবনে। সম্পূর্ণ ভবনটিতে ১০০ শতাংশ উপিএস পাওয়ার ব্যাকআপের সুবিধা থাকছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কোনও সম্ভাবনাই নেই।
– ভবনটির আয়ু অন্তত ১৫০ বছর বলে দাবি করা হয়েছে।