Vice President Election: দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন অধিকারী পিতা-পুত্র
Vice President Election: শিশির অধিকারীকে পাঠানো ওই চিঠিতে সুদীপবাবু লিখেছিলেন, দলের থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাহলে কি দলের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করেই এদিন ভোট দিলেন অধিকারী সাংসদরা?
নয়া দিল্লি : শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও খাতায় কলমে তাঁরা দুই জনই এখনও তৃণমূলের সাংসদ। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে অধিকারী সাংসদদের চিঠিও পাঠানো হয়েছিল দলের তরফে। কিন্তু এরপরও শনিবার সংসদ ভবনে দেখা গেল শিশিরবাবুকে। এমন এক ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, দুই সাংসদই ভোট দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর থেকে কাঁথির শান্তিকুঞ্জের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। যোগ কেবল খাতায় কলমে। শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের প্রতীকে জিতে সাংসদ হয়েছেন। সেই সূত্র ধরে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন শিশির অধিকারীকে। সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারও করেছিলেন অধিকারী সাংসদরা। যদিও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন কি না, সেই বিষয়টি তখনও খোলসা করেননি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত শনিবার অধিকারী সাংসদরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তাঁরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি। যদিও TV9 বাংলার তরফে অধিকারী পরিবারের সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত শিশির অধিকারীকে পাঠানো ওই চিঠিতে সুদীপবাবু লিখেছিলেন, দলের থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। তাহলে কি দলের সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করেই এদিন ভোট দিলেন অধিকারী সাংসদরা? বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা দল নেবে।
তবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে দলের তরফ থেকে কোনও হুইপ জারি করা যায় না। ফলে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিতে সংসদে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে তৃণমূল শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আইনানুগ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল আগামী দিনে বিষয়টি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করে কি না, সেই দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। উল্লেখ্য, শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ করার জন্য আগেই লোকসভার স্পিকারের কাছে আবেদন করেছে তৃণমূল।