নয়া কৃষি আইনে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশকে ছাড় দেওয়া নিয়ে হতে পারে আলোচনা: সূত্র

গতকালই আন্দোলনকারী কৃষকরা হুমকি দিয়েছে, তাঁরা কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবে সরকারকে। আন্দোলনকারী অধিকাংশ কৃষকরা পঞ্জাব ও হরিয়ানার হওয়ায় সরকার তাঁদের এই আইন থেকে রেহাই দিতে পারে।

নয়া কৃষি আইনে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশকে ছাড় দেওয়া নিয়ে হতে পারে আলোচনা: সূত্র
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 16, 2020 | 2:20 PM

নয়া দিল্লি: কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার হবে না, এ কথা সাফ জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনে (Farmers Protest) রাশ টানতে নতুন পন্থা নিতে পারে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-র সঙ্গে আজকের ক্যাবিনেট বৈঠক রয়েছে। সেখানে কৃষি আইন থেকে পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশকে ছাড় দেওয়ার কথা আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিগত তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। এরমধ্যে অধিকাংশ কৃষকরা পঞ্জাব ও হরিয়ানার। কেন্দ্রের তরফে পাঁচ দফা বৈঠকে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলেও তাঁরা মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভিন্ন বিকল্প পথ সম্পর্কে আলোচনা করতেই আজকের বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র অনুযায়ী, এই বৈঠকেই পঞ্জাব (Punjab), হরিয়ানা (Haryana) ও উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)-র কৃষকদের নয়া কৃষি আইন থেকে রেহাই দেওয়ার কথা আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price) ব্যবস্থা অটুট রাখার কথাও আলোচনা হতে পারে।

সরকারের তরফে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বজায় রাখার আশ্বাস দেওয়া হলেও কৃষকদের দাবি, নয়া কৃষি আইনে কর্পোরেটদের ভরসায় দিন কাটাতে হবে তাঁদের। উৎপাদিত ফসলের নায্য দামও পাবেন না তাঁরা। তাই দ্রুত তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে।সরকারের দাবি, নতুন কৃষি আইনে ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে ফড়ে না থাকায় সরাসরি উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারে কৃষকরা এবং তাঁদের আয় বৃদ্ধি হবে।

আরও পড়ুন: কৃষি আইন আমরা প্রত্যাহার করিয়েই ছাড়ব, আরও জোরাল হচ্ছে অন্নদাতাদের দাবি

মঙ্গলবার গুজরাটে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে কৃষি আইন সম্পর্কে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “কৃষকদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে চালিত করার চক্রান্ত করছে বিরোধী দলগুলি।” কৃষকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন,”আপনাদের সবরকমের সংশয় দূর করতে আমাদের সরকার ২৪ ঘণ্টাই প্রস্তুত রয়েছে।”

অন্যদিকে গতকালই আন্দোলনকারী কৃষকরা হুমকি দিয়েছে, তাঁরা কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবে সরকারকে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar)-ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন। গতকাল কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর উত্তর প্রদেশের ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (Bharatiya Kishan Union) জানিয়েছে, তাঁরা আন্দোলন শেষ করতে রাজি।

বিরোধীদের অভিযোগ, আলাদাভাবে প্রতিটি কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক আসলে কেন্দ্রের চাল। কৃষকদের একতায় ফাটল ধরিয়ে এবং কৃষক সংগঠনগুলির মধ্য বিরোধের সৃষ্টি করে আন্দোলনের গতিপথ পাল্টানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি পূরণের পালা, বিহারে বিনামূল্যে করোনা টিকার প্রস্তাব পাশ নীতীশ সরকারের