Arab Emirates: আমিরশাহীর রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ভারতে, হবে না কোনও সরকারি অনুষ্ঠান
Arab Emirates: শুক্রবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। শনিবার দিনভর সমস্ত সরকারি ভবনে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা।
নয়া দিল্লি: ২০১৪ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন হৃদরোগে। তারপর থেকে ছিলেন শয্যাশায়ী। অবশেষে দীর্ঘদিন রোগভোগের পর শুক্রবারই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) রাষ্ট্রপতি(President of the United Arab Emirates) শেখ খলিফ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তাঁর জন্ম ১৯৪৮ সালে। রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশেই। শুক্রবার থেকে টানা চল্লিশ দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক চলবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। এই এক মাসের বেশি সময় ধরে সমস্ত সরকারি ভবনে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। শোকের ছায়া পড়েছে ভারতেও। সংযুক্ত আরব আমিরােতের মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে ভারত।
শুক্রবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছে কেন্দ্র সরকার(Central Government)। শেখ খলিফ বিন জায়েদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতেই ১৪ মে সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। শনিবার দেশের সমস্ত সরকারি ভবনে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। এমনকী কোথাও কোনও সরকারি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ খলিফা বিন জায়েদ ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে আবু ধাবির সম্পূর্ণ শাসনভার ছিল তাঁর কাঁধে। তিনি ছিলেন আবু ধাবির ১৬তম শাসক। ইতিহাস বলছে, আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরী নির্বাচিত হন তিনি। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন খলিফ বিন জায়েদ। তাঁর আমলেই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রধান শক্তিশালী দেশ হিসাবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয় আরব। চর্চায় আসে তাঁর দেশের সামরিক ক্ষমতার কথাও। তাঁর আমলে ভারতের সঙ্গে আরব আমিরশাহীর সঙ্গে সম্পর্কের ভীত অনেকটা মজবুত হয়।