উত্তর প্রদেশের সব গ্রামে আইসিইউ-অ্যাম্বুলেন্স দিতে বলেছিল হাইকোর্ট, নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
নির্দেশ দেওয়া হয়, চার মাসের উত্তর প্রদেশের প্রত্যেক গ্রামের হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলির বেডে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত গ্রামে যাতে এক মাসের মধ্যে আইসিইউ ও দু'টি করে অ্যাম্বুলেন্সে থাকে সেটাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল সরকারকে।
নয়া দিল্লি: উত্তর প্রদেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের কড়া ভর্ৎসনার করে বেশ কয়েকটি বড় নির্দেশ যোগী সরকারকে দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের উপর এ দিন স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত এ দিন জানিয়েছে, হাইকোর্টের এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত যা পালন করা অসম্ভব। কোভিড সংক্রান্ত যে কোনও মামলার ক্ষেত্রেই এ কথা মনে রাখতে বলা হয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালতগুলিকে।
যোগী রাজ্যে করোনার করুণ ছবি দেখে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, চার মাসের উত্তর প্রদেশের প্রত্যেক গ্রামের হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলির বেডে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত গ্রামে যাতে এক মাসের মধ্যে আইসিইউ ও দু’টি করে অ্যাম্বুলেন্সে থাকে সেটাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল সরকারকে। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে উত্তর প্রদেশ সরকার। শুক্রবার মামলাটির শুনানি হলে বিচারপতি বিনীত সরন এবং বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে জানায়, হাইকোর্টের এমন নির্দেশই দেওয়া উচিত যেগুলি বাস্তবে পালন করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: উডবার্নে সুব্রতর ঘরে মদন-শোভন, যোগ দিলেন বৈশাখীও! আদালতের রায় বেরতেই জরুরি বৈঠক
যদিও হাইকোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ পুরোপুরি নস্যাৎ করেনি শীর্ষ আদালত। বরং একে উপদেশ হিসেবে দেখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি হাইকোর্টগুলির উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন, করোনা সংক্রান্ত মামলা নিয়ে এমন ইস্যু এড়িয়ে যাওয়া উচিত যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে উত্তর প্রদেশের চিকিৎসা পরিকাঠামোয় যে গাফিলতি রয়েছে সে কথাও এ দিন উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৫ লক্ষ যাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস এয়ার ইন্ডিয়ার সার্ভার থেকে, প্রকাশ্যে ক্রেডিট কার্ড নম্বরও