Supreme Court rebukes CPIM: ‘শীর্ষ আদালত রাজনীতির ময়দান নয়’, শাহীনবাগ ইস্যুতে CPIM-কে ‘সুপ্রিম’ ধমক
CPIM in Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, যদি ঘটনার ভুক্তভোগীরা শীর্ষ আদালতের কাছে আসত, তাহলে তারা এটি নিয়ে পদক্ষেপ করত। সিপিএমকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আবেদন প্রত্যাহার করে হাইকোর্টের কাছে যাওয়ার জন্য।
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের তোপ সিপিআইএমকে। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট ধমক, “এটাকে রাজনৈতিক ময়দান বানাবেন না।” কেন সিপিএমকে এমন ধমক দিল শীর্ষ আদালত? কারণ, রাজনৈতিক দল কোর্টে এসেছে। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁরা আদালতে আসেননি। এই পরিস্থিতিতে শাহীনবাগের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট মাথা ঘামাবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। শাহীনবাগ এবং রাজধানীর অন্যান্য জায়গায় নির্মাণ ভাঙাকে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিপিএম। কিন্তু সিপিএমের সেই আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে সিপিএমের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর তীব্র আপত্তি জানিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, যদি ঘটনার ভুক্তভোগীরা শীর্ষ আদালতের কাছে আসত, তাহলে তারা এটি নিয়ে পদক্ষেপ করত। সিপিএমকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আবেদন প্রত্যাহার করে হাইকোর্টের কাছে যাওয়ার জন্য।
সিপিএমের তরফে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়েছিল,”দয়া করে অন্তত দুই দিনের জন্য নির্মাণ ভাঙার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক।” সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করে বলে, “আপনাদের কথা মতো হবে না।” সেই সঙ্গে বিচারপতি আরও বলেন, “সেখানকার জীবন জীবিকা রক্ষার জন্য আমরা আছি। কিন্তু সেটা এরকমভাবে নয়।” সিপিএমের এ হেন আবেদনে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট ধমক দিয়ে বলে, “হয় আপনারা আবেদন প্রত্যাহার করুন , নয়তো আমরা আপনাদের আবেদন খারিজ করব।” সেই সঙ্গে আদালতের আরও মন্তব্য. “আপনারা হাইকোর্টেও যান না। আপনারা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে চলে আসেন। এ সব কী হচ্ছে? একটি রাজনৈতিক দল এখানে এসে আমাদের বলছে কী করতে হবে।”
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে,”যদি কোনওরকম আইন ভাঙা হয়, তাহলে আমরা হস্তক্ষেপ করব। কিন্তু সেটা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশিত কারণে নয়। এভাবে আপনারা পিটিশন দায়ের করবেন না। আপনারা সারাদিন এখানে কাটিয়ে দিয়েছেন। যদি আপনাদের মনে হয়, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাহলে আপনারা হাইকোর্টে যেতে পারতেন।” উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের তরফে শাহীনবাগে একটি বেআইনি দখল বিরোধী অভিযান শুরু করেছে। সেই নিয়ে পুরনিগমের তরফে আদালতকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে যে “কোনও নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে না।”