Supreme Court: গর্ভের সন্তানকে মৃত্যুদণ্ড দিতে চাইছেন? মহিলাকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

Abortion case: ২৬ সপ্তাহ পর গর্ভপাতের অনুমতি চাওয়ায় মহিলার প্রতি রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, "এতদিন কী ঘুমোচ্ছিলেন?" ওই মহিলার ইচ্ছার গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে অন্যান্য বিচারপতি জানিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে গর্ভস্থ শিশুরও অধিকার উপেক্ষা করা যায় না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

Supreme Court: গর্ভের সন্তানকে মৃত্যুদণ্ড দিতে চাইছেন? মহিলাকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
গর্ভপাতের আবেদন প্রসঙ্গে কড়া সুপ্রিম কোর্ট।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2023 | 5:34 PM

নয়া দিল্লি: ২৬ সপ্তাহ পর গর্ভপাতের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হয়েছেন মহিলা। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই চন্দ্রচূড়। আবেদনকারীর প্রতি তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “আদালতের নির্দেশের মাধ্যমে আপনি সন্তানকে মৃত্যুদণ্ড দিতে চাইছেন?” জবাবে ওই মহিলা তাঁর আর্থিক ও মানসিক সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করলেও চিঁড়ে সম্পূর্ণ ভেজেনি। বৃহস্পতিবার ওই মহিলার আইনজীবী ও কেন্দ্রের কৌঁসুলীর বয়ান শোনার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, “গর্ভবতী মহিলার ইচ্ছাকে মূল্য দিলেও আমরা গর্ভস্থ শিশুর অধিকার উপেক্ষা করতে পারি না।”

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ সপ্তাহের গর্ভবতী এক মহিলা সম্প্রতি গর্ভপাতের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রথমে শীর্ষ আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেও ভ্রুণের অবস্থা সম্পর্কে এইমসের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র এই রায় বিবেচনার আবেদন জানায়। এরপরই বিতর্কের সূত্রপাত।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পাতিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মহিলা জানিয়েছেন, এই সন্তানের জন্ম হলে এটা তাঁর তৃতীয় সন্তান হবে। কিন্তু, এই সন্তান প্রতিপালন করার মতো তাঁর আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক সামর্থ্য নেই। গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই তিনি অবসাদে ভুগছেন। তাই তিনি গর্ভপাতের অনুমতি চাইছেন। কিন্তু, ২৬ সপ্তাহ পর গর্ভপাতের অনুমতি চাওয়ায় মহিলার প্রতি রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “এতদিন কী ঘুমোচ্ছিলেন?”

তবে ওই মহিলার ইচ্ছার গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে অন্যান্য বিচারপতি জানিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে গর্ভস্থ শিশুরও অধিকার উপেক্ষা করা যায় না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। শেষ পর্যন্ত সবদিক বিবেচনা করে শীর্ষ আদালত জানায়, ওই মহিলার এই সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তার দেখভালের দায়িত্ব নিতে পারত সরকার। কিন্তু, প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ, “যদি শিশুটি কোনও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, তাহলে কেউ তার দায়িত্ব নেবে না।” সেক্ষেত্রে মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ করানো ঠিক হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দেয়। অবশেষে, এই বিষয়ে মায়ের ইচ্ছাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে শীর্ষ আদালত। ওই মহিলার শিশুটিকে জন্ম দেওয়ার ইচ্ছা নিয়ে তাঁর সঙ্গে পুনরায় কথা বলার জন্য কেন্দ্রের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাঁর বয়ান শোনার পরই শুক্রবার এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।