Bangladeshi Infiltration: হিন্দু সেজে ঘুরছিল বাংলাদেশি মুসলিম! মাদ্রাসা-যোগে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল বিজেপি

Madrasha Connection: গুজরাটের পুলিশ প্রতিমন্ত্রীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় চলা একটি মাদ্রাসার সাহায্য নিয়ে ওই ব্যক্তি ধর্মীয় পরিচয় জাল করেছিল। মাদ্রাসার থেকে পাওয়া ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করেই হিন্দু নামে জাল নথিপত্র বানিয়েছিল ওই বাংলাদেশি মুসলিম।

Bangladeshi Infiltration: হিন্দু সেজে ঘুরছিল বাংলাদেশি মুসলিম! মাদ্রাসা-যোগে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল বিজেপি
গুজরাট পুলিশের হাতে গ্রেফতার (হর্ষ সাংভির এক্স হ্যান্ডেল থেকে পাওয়া ছবি)Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2024 | 4:41 PM

সুরাট ও কলকাতা: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসার যোগ তুলে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল বিজেপি। গুজরাট পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। গুজরাটের পুলিশ প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি এক্স হ্যান্ডেলে প্রথম বিষয়টি তুলে ধরেন। সুরাট পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের হাতে ধরা পড়েছে ওই বাংলাদেশি মুসলিম। গুজরাটের পুলিশ প্রতিমন্ত্রীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় চলা একটি মাদ্রাসার সাহায্য নিয়ে ওই ব্যক্তি ধর্মীয় পরিচয় জাল করেছিল। মাদ্রাসার থেকে পাওয়া ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করেই হিন্দু নামে জাল নথিপত্র বানিয়েছিল ওই বাংলাদেশি মুসলিম।

সূত্রের খবর, ওই বাংলাদেশি ব্যক্তির আসল নাম মিনার হিমায়াত সর্দার। কিন্তু নথিপত্র জাল করে সে হয়ে গিয়েছে শুভ দাস। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসার এই যোগের অভিযোগটি গুজরাটের পুলিশ প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গুজরাট্রে মন্ত্রী আরও লিখেছেন, শেষ বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাদ্রাসাগুলির জন্য ৫ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে।

বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত অভিযোগের সুর আরও চড়িয়ে লিখেছেন, “বাংলাদেশি মুসলিমদের হিন্দু করার নথিপত্রের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলার মাদ্রাসাগুলিকে। মাদ্রাসাগুলির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ৫ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা বাজেট অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এতে কি তাহলে রাজ্য সরকারের সমর্থন রয়েছে?” নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলেও। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আবার এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারেই। গতকালই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দিনের সফরে শেষে ফিরেছেন দিল্লি থেকে। শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছে। সেলিমের প্রশ্ন, ‘বাংলাদেশ থেকে কী করে এদেশে চলে আসছে এভাবে, সেটা কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে? এগুলি তো দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে হয়।’

যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।