সরকারি হাসপাতালেই মিলবে রেমডিসিভির, কালোবাজারি রুখতে কড়া তামিলনাড়ু সরকার
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধ নিয়ে দেশজুড়ে যে কালোবাজারি শুরু হয়েছে, তা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে নায্য দামে বিক্রি করা হচ্ছে এই ওষুধ।
চেন্নাই: করোনা সংক্রমণ বাড়তেই শুরু হয়েছে ওষুধের কালোবাজারি। চড়া দামে বিকোচ্ছে সেই ইঞ্জেকশন। এই কালোবাজারি রুখতেই বড় সিদ্ধান্ত নিল তামিলনাড়ু প্রশাসন। এ বার থেকে সরকারি হাসপাতালেই পাওয়া যাবে রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত কিলপৌক হাসপাতালে বিক্রি হচ্ছে রেমডিসিভির। জিএসটি কর মিলিয়ে প্রতি ফাইলের দাম পড়বে ১৫৬৫ টাকা। তবে ওষুধটি কিনতে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন, আধার কার্ড, আরটি-পিসিআর টেস্টের পজেটিভ রিপোর্ট ও সিটি স্কান রিপোর্ট দেখাতে হবে।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধ নিয়ে দেশজুড়ে যে কালোবাজারি শুরু হয়েছে, তা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে নায্য দামে বিক্রি করা হচ্ছে এই ওষুধ।
সোমবার থেকেই বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে লম্বা লাইন দেখা যায় ওষুধ কেনার। এক ব্যক্তি জানান, তিনি ছয়টি শিশি ৯৪০০ টাকা দিয়ে কিনলেন। বাইরে একটি শিশিই কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ২৫ হাজার টাকাও চাইছেন। সেই ওষুধ আদৌই আসল কিনা, সে বিষয়েও গ্যারান্টি নেই।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই রেমডিসিভির ও ফ্যাবিপিরাভির সহ করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলির চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। উৎপাদক সংস্থাগুলি নতুন করে উৎপাদন কার্য শুরু করলেও এখনও বাজারে ঘাটতি রয়েছে। সেই সুযোগেই দেশজুড়ে রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি।
আরও পড়ুন: শাহি স্নান মিটতেই ৫ হাজার পার করল দৈনিক আক্রান্ত, হরিদ্বার জুড়ে জারি কার্ফু