শাহি স্নান মিটতেই ৫ হাজার পার করল দৈনিক আক্রান্ত, হরিদ্বার জুড়ে জারি কার্ফু
গত ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল, যে সময়ে কুম্ভস্নানের জন্য সবথেকে বেশি ভিড় হয়েছিল, ওই পাঁচদিনেই দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন।
হরিদ্বার: করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অবশেষে জারি হল কার্ফু। তবে তা শাহি স্নান শেষেই। কুম্ভমেলায় শাহি স্নানের শেষ তিথি ছিল মঙ্গলবার। সেই কাজ মিটতেই বুধবার থেকে হরিদ্বারে জারি হল কার্ফু।
করোনা সংক্রমণের মাঝেও কুম্ভমেলার আয়োজন করায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল প্রসাসনকে। এদিকে, একাধিক আখড়ার প্রধান ও সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় একে একে তাঁরাও মেলা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। গত ১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ভিড় না বাড়িয়ে প্রতীকী কুম্ভ স্নানের আবেদন জানান। জুনা আখড়ার প্রধান স্বামী অভ্যদেশানন্দ কুম্ভ মেলায় ইতি টানার ঘোষণা করতেই ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করে মেলা প্রাঙ্গণ।
তবে গতকালও কয়েকশো সাধু-সন্ন্যাসীদের শাহি স্নান করতে দেখা যায়। তবে মুখে মাস্ক বা সামাজিক দূরত্ব পালনের কোনও বালাই ছিল না। চার দফার শাহি স্নান শেষ হওয়ার পরই গতকাল হরিদ্বারের জেলা শাসক গোটা জেলায় কার্ফু ঘোষণা করেন।
Uttarakhand: People take holy dip in river Ganga in Haridwar on Chitra Purnima today. The last ‘shahi snan’ of #KumbhMela2021 is taking place today. pic.twitter.com/rnF0UN8mU0
— ANI (@ANI) April 27, 2021
তিনি জানান, কার্ফুর সময়কালে কেবল জরুরি পরিষেবা ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের যাতায়াতের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। হরিদ্বার, রুরকি, লকসর ও ভগবানপুরে এই কার্ফু জারি থাকবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার উত্তরাখণ্ডে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। একমাস আগেও রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ ছিল। গত ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল, যে সময়ে কুম্ভস্নানের জন্য সবথেকে বেশি ভিড় হয়েছিল, ওই পাঁচদিনেই দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: একদিনেই মৃত ৮৯৫! সংক্রমণের পর করোনা মৃত্যুতেও রেকর্ড গড়ছে মহারাষ্ট্র