Physical Assault Case: ক্লাসের মধ্যেই ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা অধ্য়াপকের, অভিযোগ শুনতে নারাজ কলেজ! পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে অবশেষে গ্রেফতার
Tamil Nadu: শুক্রবার হরি পদ্মন নামক ওই সহকারি অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ (যৌন হেনস্থা), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) ধারা ও নারীদের হয়রানি আইনের অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
চেন্নাই: কলেজেও সুরক্ষিত নয় ছাত্রীরা। সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধেই উঠল যৌন হেনস্থার অভিযোগ। তবে প্রথমে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছিল না। শেষ অবধি বিক্ষোভ শুরু করতেই পদক্ষেপ করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল রুক্মীণী দেবী কলেজ অব ফাইন আর্টসের এক অধ্যাপককে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম হরি পদ্মন। তিনি কলাক্ষেত্রের রুক্মীনী দেবী কলেজ অব ফাইন আর্টসের সহকারী অধ্য়াপক হিসাবে কাজ করতেন। প্রায় ৯০ জন পড়ুয়া ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার হরি পদ্মন নামক ওই সহকারি অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ (যৌন হেনস্থা), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) ধারা ও নারীদের হয়রানি আইনের অধীনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই নামকরা কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই যৌন হেনস্থার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পড়ুয়াদের অভিযোগ, হরি পদ্মন নামক ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওই অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হোক এবং কলেজে পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ একটি পরিবেশ তৈরি করা হোক, এই দাবিতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ শুরু হতেই আগামী ৬ এপ্রিল অবধি কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমস্ত পড়ুয়াদের দ্রুত হস্টেল খালি করে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রুক্মীণী দেবী কলেজ অব ফাইন আর্টসের প্রায় ৯০ জন পড়ুয়া রাজ্যের মহিলা কমিশনের প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন এবং অভিযোগ জানান। প্রায় ২০০ জন পড়ুয়া কলেজ চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, ওই সহকারী অধ্যাপক ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা, শারীরিক গঠন নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য ও গালিগালাজ করতেন। ওই অধ্যাপকের গ্রেফতারির পর পড়ুয়ারা সাময়িকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন যথাযথ তদন্ত এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।