Ram temple: মাত্র ৮৪ সেকেন্ড! রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় একটুও এদিক-ওদিক চলবে না
Ayodhya Ram temple: দিনভর চলবে জমজমাট উদযাপন। তবে, রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৮৪ সেকেন্ড। ট্রাস্ট সদস্যদের যাবতীয় চিন্তা-ভাবনা এখন আবর্তিত হচ্ছে ওই ৮৪ সেকেন্ডকে ঘিরেই। মন্দিরের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, এই ছোট্ট সময়ের উপরই।
অযোধ্যা: হাতে আর একমাসও নেই। ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। আর তার জন্য, এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে শেষ কয়েক দিনের প্রস্তুতি। ২২ জানুয়ারি মূল অনুষ্ঠান হলেও,তার সাতদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান। প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রবল উৎসাহ দেখা যাচ্ছে দেশ জুড়ে। প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতা, বলিউড অভিনেতা, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ এবং সারা দেশের বিশিষ্ট সাধু-সন্তদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দিনভর চলবে জমজমাট উদযাপন। তবে, রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ৮৪ সেকেন্ড। ট্রাস্ট সদস্যদের যাবতীয় চিন্তা-ভাবনা এখন আবর্তিত হচ্ছে ওই ৮৪ সেকেন্ডকে ঘিরেই। মন্দিরের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, এই ছোট্ট সময়ের উপরই।
ট্রাস্ট সদস্যরা জানিয়েছেন, মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য ওই ৮৪ সেকেন্ডই হল সবথেকে পবিত্র ক্ষণ। অনেক তিথি ঘেঁটে এই পবিত্র সময়টি নির্ধারণ করেছেন বারাণসীর পণ্ডিতরা। ট্রাস্ট সদস্যদের মতে, এই ‘মুহূর্ত’ শুরু হবে ২২ জানুয়ারি বেলা ১২টা বেজে ২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ডে। ১২টা বেজে ২০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত এই ‘মুহূর্ত’ স্থায়ী হবে। মাঝের ৮৪ সেকেন্ড বা ১ মিনিট ২৪ সেকেন্ড সময়েই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে। এর আগে, অযোধ্যা রাম মন্দির প্রাঙ্গনে হবে হোম-যজ্ঞ, চতুর্বেদ পাঠ। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরও প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলবে বিভিন্ন বৈদিক আচার। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর, রামলালার প্রথম আরতী করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রাণ প্রতিষ্ঠার ওই ৮৪ সেকেন্ড, পঞ্চবানের প্রভাব মুক্ত বলে জানিয়েছেন পণ্ডিতরা। এই মুহূর্তের ১৬টি গুণের ১০টিই ভাল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, এটা অভিজিৎ মুহূর্ত। এই সময় কোনও দেশ বা রাষ্ট্রের বৃদ্ধির সময় বলে বিবেচনা করা হয়। কাশির পণ্ডিতদের মতে, এই পবিত্র মুহূর্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং অত্যন্ত সম্বৃদ্ধশালী। তাঁদের মতে, এই সময়ে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা ভারতের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। শুধু কাশির পণ্ডিতরাই নন, সারা দেশের বিশিষ্ট পণ্ডিত ও জ্যোতিষীরাও এই সময়কেই সবথেকে পবিত্র বলে মনে করছেন।
রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সুরক্ষার প্রশ্নও। এর জন্য প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের তিন দিন আগে থেকেই মন্দিরে ভক্তদের দর্শন বন্ধ রাখা হবে। তবে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরের দিন থেকেই, অর্থাৎ, ২৩ জানুয়ারি থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে রাম মন্দিরের দরজা।