Uttar Pradesh: ‘নাম কেটে দেব কলেজের খাতা থেকে’, যোগী রাজ্যে শিক্ষকদের লালসার শিকার নাবালিকা ছাত্রী
Uttar Pradesh: পুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে দুজন ওই ছাত্রী যে কলেজে পড়েন, সেই কলেজেই কর্মরত। অপরজন অন্য এক সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে শিক্ষকতা করে। গ্রেফতার করা হয়েছে
লখনউ: সঙ্গমে সম্মতি না দিলে বের করে দেওয়া হবে কলেজ থেকে। এই হুমকি দিয়ে গত পাঁচ ধরে এক ১৬ বছরের ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করছিল তিন কলেজ শিক্ষক। গুরুতর অভিযোগে মঙ্গলবার (১ অগস্ট) ওই তিন কলেজ শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের চিত্রকুট জেলায়। শুধু তাই নয়, তিন কলেজ শিক্ষকের সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তার খুড়তুতো ভাইকেও। চিত্রকূট পুলিশের সুপার বৃন্দা শুক্লা বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত মেয়েটির খুড়তুতো ভাই-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।” পুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে দুজন ওই ছাত্রী যে কলেজে পড়েন, সেই কলেজেই কর্মরত। অপরজন অন্য এক সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে শিক্ষকতা করে।
জানা গিয়েছে, লাগাতার যৌন হেনস্থার শিকার হতে হতে, সম্প্রতি তার বাবার কাছে সে পুরো ঘটনাটা খুলে বলেছিল। মেয়েটি বাবাকে জানিয়েছিল, কলেজের এক শিক্ষক তাকে যৌন হয়রানি করছে। রাজি না হলে, তাকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এরপরই, ওই কিশোরীর বাবা পুলিশের কাছে ওই কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মেয়েটি গোপন জবানবন্দিও দিয়েছে। সেখানে সে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির জবানবন্দির ভিত্তিতে তারা এই ঘটনার পিছনে ওই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে। মেয়েটি তার জবানবন্দিতে তার খুড়তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধেও বিবৃতি দিয়েছে। ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। সেও বেশ কয়েকবার ওই কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর, মেয়েটির মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস যাচাই করে পুলিশ। তাতে জানা যায়, ওই যুবক মেয়েটিকে নিয়মিত ফোন করত। এরপরই তাকেও গ্রেফতার করা হয়। চিত্রকূটের সার্কেল অফিসার নিষ্ঠা উপাধ্যায় বলেছেন, “মেয়েটিকে কেন যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে, তার কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ। কলেজের অন্যান্য কর্মচারী এবং তার সহপাঠী ও বন্ধুবান্ধবদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”