টিন্ডারে রাইট সোয়াইপ করার আগে দু’বার ভাবুন, ডেটে গিয়ে এমন ভয়ঙ্কর হাল হতে পারে আপনার
Fraud Case: কিছু স্ন্যাক্স, কেক এবং নরম পানীয়ের চারটি শটস অর্ডার করা হয়েছিল। আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া চলছিল, হঠাৎই পারিবারিক কারণে তাড়াতাড়ি চলে যেতে হয় বর্ষাকে। ওই যুবক বিল মেটানোর জন্য হাঁক দিতেই তাঁর হাতে যে বিল ধরানো হল, তাতে চক্ষু চড়কগাছ। দেখলেন, ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯১৭ টাকা বিল এসেছে ওই সামান্য খাওয়া-দাওয়ার।
নয়া দিল্লি: টিন্ডারে রাইট সোয়াইপ করার অভ্যাস? খুব সাবধান তবে। এই যুবকের অভিজ্ঞতা শোনার পর আপনি রাইট সোয়াইপের বদলে লেফট সোয়াইপ করাই শ্রেয় মনে করবেন। কেন জানেন? টিন্ডারে আলাপ হওয়া যুবতীর সঙ্গে ডেটে গিয়েই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হল। এক নিমেষে সর্বস্বান্ত হয়ে গেলেন যুবক।
কী হয়েছিল?
জানা গিয়েছে, টিন্ডারে আলাপ হওয়া এক যুবতীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই লক্ষাধিক টাকা খোয়াতে হয়েছে এক যুবককে। ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই যুবক। টিন্ডারে নাম লিখিয়েছিলেন প্রেমের খোঁজে। সেখানে আলাপ হয়েছিল বর্ষা নামে এক যুবতীর সঙ্গে। অল্প কয়েকদিন কথা, তারপরই জন্মদিন উদযাপন করার জন্য পূর্ব দিল্লির বিকাশ মার্গের একটি ক্যাফেতে ডেকেছিল যুবতী।
বেশ ভালই চলছিল ডেট। কিছু স্ন্যাক্স, কেক এবং নরম পানীয়ের চারটি শটস অর্ডার করা হয়েছিল। আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া চলছিল, হঠাৎই পারিবারিক কারণে তাড়াতাড়ি চলে যেতে হয় বর্ষাকে। ওই যুবক বিল মেটানোর জন্য হাঁক দিতেই তাঁর হাতে যে বিল ধরানো হল, তাতে চক্ষু চড়কগাছ। দেখলেন, ১ লক্ষ ২১ হাজার ৯১৭ টাকা বিল এসেছে ওই সামান্য খাওয়া-দাওয়ার।
দেখেই তো মাথায় হাত। ওয়েটারদের ডাকলেন, জানতে চাইলেন, কীভাবে এত টাকার বিল এল? কিন্তু বিল ঠিক করা তো দূর, বরং ক্যাফের মালিক এসে ধমকাতে-চমকাতে শুরু করলেন। চাপের মুখে বাধ্য হয়ে ওই যুবক ১.২ লক্ষ টাকা দিয়ে দেয়।
ক্যাফে থেকে বেরিয়েই সোজা থানায় ছোটেন যুবক। জানান, কীভাবে তাঁর থেকে জোর-জবরদস্তি টাকা আদায় করে নেওয়া হয়েছে। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। খোঁজ মেলে বড় গ্যাংয়ের। জানা যায়, ওই যুবতী কখনও বর্ষা, কখনও আয়েষা, কখনও আবার নূর নামে নিজেকে পরিচয় দেয়। তাঁর আসল নাম আফসান পারভিন। ওই ক্যাফের মালিক, কর্মচারীদের নিয়ে প্রতারণা চক্র চালায় তাঁরা। পারভিন টিন্ডার, ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট থেকে বিভিন্ন যুবকদের ফাঁসায়। তাঁদের ডেটে ডাকে এই ক্যাফেতে। তারপরই বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে পালিয়ে যেত যুবতী। আর বিল মেটাতে গিয়ে রীতিমতো তোলাবাজির শিকার হত যুবকরা।
লাখ লাখ টাকার যে তোলাবাজি হত, তার থেকে ১৫ শতাংশ ভাগ পেত পারভিন। ৪৫ শতাংশ টেবিল ও ক্য়াফে ম্যানেজারদের মধ্যে ভাগাভাগি হত আর ৪০ শতাংশ ভাগ পেত ক্যাফের মালিক। শুধু দিল্লিই নয়, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদেও ছড়িয়েছিল প্রতারণা চক্র।