মা করোনা আক্রান্ত, ফেসবুকে সাহায্য চাইতেই কিশোরীর বাড়িতে ওষুধ-খাবার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর চোখে পড়ে এক কিশোরীর ভিডিয়ো বার্তা। সেখানে এক কিশেরীকে তাঁর কাছে পড়াশোনার জন্য একটি স্টাডি টেবিল, করোনা আক্রান্ত মায়ের জন্য কিছু ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রীর আবেদন করতে দেখেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের দফতরের কর্মীদের হাত দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি পাঠান।

মা করোনা আক্রান্ত, ফেসবুকে সাহায্য চাইতেই কিশোরীর বাড়িতে ওষুধ-খাবার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 06, 2021 | 2:25 PM

আগরতলা: মা করোনা আক্রান্ত। একচালার বাড়িতেই কোনওমতে কষ্ট করে থাকেন চারজন। ১৪ বছরের কিশোরী তাই ফেসবুকে ভিডিয়ো পোস্ট করে মায়ের চিকিৎসার জন্য ওষুধ ও কিছু খাবার সাহায্য চেয়েছিলেন। ভিডিয়োয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই ভিডিয়ো বার্তা চোখে পড়তেই কিশোরীর বাড়িতে প্রয়োজনীয় ওষুধ, বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট ও একটি স্টাডি টেবিল পাঠিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর নজর এড়িয়ে যায় না কোনও পোস্টই। সম্প্রতিই তাঁর চোখে পড়ে এক কিশোরীর ভিডিয়ো বার্তা। সেখানে এক কিশেরীকে তাঁর কাছে পড়াশোনার জন্য একটি স্টাডি টেবিল, করোনা আক্রান্ত মায়ের জন্য কিছু ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রীর আবেদন করতে দেখেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের দফতরের কর্মীদের হাত দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি পাঠান।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো জিনিসগুলি হাতে পেয়েই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। বর্ষা দাস নামক ওই কিশোরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই অবদান মন ছুঁয়ে গেল। উনি আমাকে একটি স্টাডি টেবিল দিয়েছেন। আমার মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাবারও পাঠিয়েছেন। এগুলির জন্য ওনাকে (বিপ্লব কুমার দেব) অসংখ্য ধন্যবাদ।”

ওই কিশোরী জানায়, তাঁর বাবা একটি ছোট বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। অধিকাংশ সময়ই তাদের আর্থিক অনটন লেগে থাকে। সেই কারণেই কয়েক সপ্তাহ আগে মায়ের করোনা চিকিৎসার জন্য ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওষুধ ও খাবার পাঠিয়ে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপরে আরও একটি ভিডিয়ো বার্তায় পড়াশোনার জন্য একটি স্টাডি টেবিল চেয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যে সত্যিই সেই সমস্ত দাবিই পূরণ করবেন, তা ভাবতেও পারেনি ওই কিশোরী।

কিশোরীর বাবা উত্তম দাস বলেন, “মেয়ে যে ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানতাম না। শুক্রবার যখন আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে কিছু আধিকারিক হাজির হন, আমি অবাক হয়ে যাই। এই সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পরামর্শদাতা সঞ্জয় মিশ্র জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট সক্রিয়। তিনি মনে করেন, এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সহজ পথ। তিনি এর আগেও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে সাহায্যের আবেদন শুনে সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন।