‘শুধু অরাজকতা চলছে, রাজ্যের গণতন্ত্র বিপদে’, ক্ষোভ উগরে দিলেন ত্রিপুরার রাজস্বমন্ত্রী

নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা বলেন, "আমি নিজের কর্তব্যই পালন করছিলাম, কিন্তু ওদের মতে, আমি নিজের লোকেদের জন্য তাও করতে পারব না।"

'শুধু অরাজকতা চলছে, রাজ্যের গণতন্ত্র বিপদে', ক্ষোভ উগরে দিলেন ত্রিপুরার রাজস্বমন্ত্রী
এনসি দেববর্মা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 21, 2021 | 2:38 PM

আগরতলা: সংসদে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ক্ষুব্ধ ত্রিপুরার প্রবীণতম নেতা তথা রাজস্ব মন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা। বুধবারের এই বিক্ষোভের ঘটনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “রাজ্যে কোনও আইন-শাসন নেই, গোটা গণতন্ত্রই বিপদের মুখে।”

আইপিএফটি-র প্রধান নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা বুধবার জামপুইজালা-তাকারজালা কেন্দ্রে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ও উন্নয়নের কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়ে বৈঠক করতে যান। সেখানেই তাঁকে ৫০-৬০ জন তিপরা দলের সমর্থক জড়ো হয় ও কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দেন।

বিক্ষোভের খবর শুনেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করতেই তাঁরা যে কমিউনিটি হলে বৈঠক হচ্ছিল, তা লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে। কোনওমতে দেববর্মাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

কিন্তু আচমকা বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা। তিনি বলেন, “পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুসারেই আমি নিজের কেন্দ্রে উন্নয়ন কাজ ও করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। আমি পৌঁছতেই তিপরা দলের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এবং আমাদের উপর আক্রমণ করে। বাধ্য হয়ে আমাদের বৈঠক বাতিল করতে হয়। আমি নিজের কর্তব্যই পালন করছিলাম, কিন্তু ওদের মতে, আমি নিজের লোকেদের জন্য তাও করতে পারব না।”

তিনি গোটা ঘটনার সমালোচনা করে বলেন, “রাজ্যজুড়ে কেবল অরাজকতা চলছে। আমি কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন ঘটনা দেখিনি। এখানে কোনও আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্রই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের উচিত, দ্রুত কোনও পদক্ষেপ করা, নাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি উপজাতি অধ্যুষিত স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে তিপরা দল। সেখানেই বিজেপি ও আইপিএফটি জোট বেঁধে মাত্র নয়টি আসন পায়। যদিও ভোটের ফল বেরোনোর পরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিল, জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা।

আরও পড়ুন: মানবতাই সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, মৃত্যু পথযাত্রী মুসলিম কোভিড রোগীর কানে কলমা পড়ে শোনালেন হিন্দু চিকিৎসক