পুলিশকর্মীর বাড়িতেই চলত মাদক চক্র! সাবান কেটে উদ্ধার ব্রাউন সুগার
শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারাই রানা ঘোষের বাসিন্দা ঘেরাও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এডি নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে যায়। স্থানীয়দের চাপেই তাঁরা বাধ্য হয়ে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়।
আগরতলা: বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা হয়তো একেই বলে! পরিবারের সকলেই পুলিশ বাহিনীতে যুক্ত, তবে ছোট ছেলে পড়াশোনা বেশিদূর এগোতে না পারায় অটো চালাতেন। এতে অস্বাভাবিক কিছু মনে না হলেও অর্থের বহর দেখেই পাড়া প্রতিবেশীদের মনে সন্দেহ জেগেছিল। পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তাঁরা। বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতেই মিলল মাদক চক্রের হদিশ।
ত্রিপুরা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীতিলার বাসিন্দা সুভাষ ঘোষ দীর্ঘদিন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতিই তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী রাজ্য পুলিশে এখনও কর্মরত। তাঁদের বড় ছেলে রাজীব ঘোষও ত্রিপুরা রাজ্য রাইফেল জওয়ানে কর্মরত। তবে তাঁদের ছোট ছেলে রানা ঘোষ অটো চালাতেন। তবে তাঁর শৈখিন জিনিসপত্র ও খরচের বহর দেখেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশে সন্দেহজনক কার্যকলাপের অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন: উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ, করোনা সংক্রমণ রুখতে কী সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী?
তবে অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারাই রানা ঘোষের বাসিন্দা ঘেরাও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এডি নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে যায়। স্থানীয়দের চাপেই তাঁরা বাধ্য হয়ে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। প্রথমে কিছু না মিললেও প্রচুর সাবান দেখে সন্দেহ হয়। সাবান কাটতেই দেখা যায় ভিতরে রয়েছে ব্রাউন সুগার। মোট ৭২ প্যাকেট ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়। এরপরই গ্রেফতার করা হয় রানা ঘোষ ও তাঁর স্ত্রীকে। জেরায় জানা যায়, তাঁরা বিগত কয়েক মাস ধরেই মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তাঁদের জেরা করেই খোঁজ মেলে আরেক মাদক পাচারকারীর। আগরতলার উজান অভয়নগর থেকে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত চৌধুরী নামক এক ব্যক্তিকে। তাঁর বাড়ি থেকেও সাবানের ভিতর থেকে মাদক উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News Live: মহারাষ্ট্রে জারি আংশিক লকডাউন, চলবে নৈশ কার্ফুও