করোনার কামড়ে পরীক্ষা বাতিল না হলেও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত ত্রিপুরা সরকারের
শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, "রাজ্যে যে হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই বিষয়টিকে নজরে রেখে এবং অভিভাবকদের আবেদন মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
আগরতলা: রাজ্যে ক্রমশ বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা সরকার। শুক্রবারই রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, ১৭ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এক সপ্তাহ আগেই প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সমস্ত ক্লাস বাতিল এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পঠনপাঠন সপ্তাহে তিনদিন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, “রাজ্যে যে হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই বিষয়টিকে নজরে রেখে এবং অভিভাবকদের আবেদন মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
আগামী ১৯ মে দশম ও ১৮ মে থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, সেই পরীক্ষা বাতিল করা হবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমরা একই পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করছি না। আগামিদিনে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির যে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেই বিষয়েও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কলেজের সেমেস্টারগুলির বিষয়ে ভাইস চ্যান্সেলরদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রাজ্যে যে সমস্ত স্কুল, কলেজ ও কারিগরী শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা চলছে, তা বাতিল করা হবে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ৫০ শতাংশ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা পরীক্ষার দিনগুলিতে আসবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের অপরিকল্পিত পদক্ষেপের ফল ভুগছে দেশবাসী’, করোনা নিয়ে ফের আক্রমণ কংগ্রেসের