বন্ধ স্কুল-কলেজ, কোভিড ওয়ার রুমেই নতুন ‘পেশা’ খুঁজে নিলেন ত্রিপুরার শিক্ষকরা
শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, মোট ১৭০৩ জন শিক্ষক ওয়ার রুম, কন্ট্রোল রুম ও টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে কাজ করছেন।
আগরতলা: করোনা সংক্রমণের জেরে যখন সবাই ঘরবন্দি, সেই সময়ই প্রতিদিন কাজে বের হচ্ছেন ত্রিপুরার প্রায় ২ হাজার শিক্ষক। দীর্ঘ এক মাস ধরে সংক্রমণের ভয়ে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় স্বেচ্ছায় করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় জেলাভিত্তিক যে ওয়ার রুমগুলি তৈরি হয়েছে, সেখানেই কাজ করছেন রাজ্যের শিক্ষকরা। ট্রেনে বা বিমানপথে রাজ্যে যেসমস্ত যাত্রী আসছেন, তাদের হিসাব রাখা, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং কোভিড কল সেন্টারগুলি সামলানোর কাজ করছেন ত্রিপুরার বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষকরা।
এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের মুখপাত্র তথা শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, মোট ১৭০৩ জন শিক্ষক ওয়ার রুম, কন্ট্রোল রুম ও টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই তিনটি ওয়ার রুম চালু করা হয়েছে। আগামিদিনে বাকি জেলাগুলিতেও আরও সাতটি ওয়ার রুম খোলা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, সিপাহিজালার ওয়ার রুমে মোট ৩৭ জন শিক্ষক কাজ করছেন, যারা মূলত সড়ক, রেল ও বিমানপথে রাজ্যে আগত যাত্রীদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন। এছাড়া পশ্চিম ত্রিপুরায় তৈরি ওয়ার রুমে ৫৪ জন শিক্ষক হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা অবধি কড়া পর্যবেক্ষণে রাখার কাজ চালাচ্ছেন। ঢালাইয়ে তৈরি ওয়ার রুমে ৩০ জন শিক্ষক রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন ও শয্যা রয়েছে কিনা, তা দেখার পাশাপাশি চিকিৎসক, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুলেন্স চালকদের রেকর্ড সবসময় প্রস্তুত রাখছে।