Youth Suicide: স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে বিয়ে করতে চাপ পাড়ার ক্লাবের! অপমানে আত্মঘাতী বাঙালি যুবক

Tripura: বিশালগড় থানার পুলিশ অফিসার হিমাদ্রি সরকার বলেছেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। স্থানীয় সদস্যরা এক জন মহিলাকে বিয়ের করার জন্য আত্মঘাতী যুবকের উপর প্রবল চাপ তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।”

Youth Suicide: স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে বিয়ে করতে চাপ পাড়ার ক্লাবের! অপমানে আত্মঘাতী বাঙালি যুবক
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 12:51 PM

আগরতলা: স্বামী পরিত্যক্তা মহিলার সঙ্গে পাড়ারই এক যুবকের সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন পাড়ার লোকেরা। পাড়ার ক্লাব মাতব্বতি করে ওই মহিলাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। যদিও মহিলার সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক নেই বলে শুরু থেকেই দাবি করেছিলেন ওই যুবক ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। যুবকের পরিবারের লোকের অভিযোগ, বিয়ের পাশাপাশি রবিবার ফোন করে ক্লাবে ডাকা হয় ওই যুবককে। তাঁর সঙ্গে যান পরিবারের লোকেরাও। তখন এক লক্ষ টাকা ক্লাবকে দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করারও প্রস্তাব ক্লাবের সদস্যরা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি পুলিশে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরই অপমানে আত্মঘাতী হন ওই যুবক। ঘরের মধ্যেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ সোমবার দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। এর পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

পাড়ার মাতব্বতিতে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সেপাহিজালা জেলায়। সেপাহিজালার নামপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম লিটন দাস। তাঁর বয়স ৩০ বছর। সোমবার তাঁরই ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। মৃত লিটনের দিদি সোমা দাসের অভিযোগ, পাড়ার ক্লাবের কিছু যুবক এলাকার এক স্বামীর পরিত্যক্তা মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ করেন। তাঁকে বিয়ে করার জন্য লিটনের উপর চাপর তৈরি করেন।

এ নিয়ে সোমা বলেছেন, “ক্লাবের কিছু লোক আমার ভাইয়ের সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন। এই নিয়ে নিজে থেকেই তাঁরা ক্লাবে একটি মিটিং করে। সেখানে ডাকা হয় লিটনকে। লিটনের সঙ্গে আমরাও গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই মহিলার সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্কের কথা সরাসরি নাকচ করেছিল আমার ভাই। আমাদের উপস্থিতিতেই ওই মহিলাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয় ক্লাবের ছেলেরা। পাশাপাশি বিষয়টি মিটমাট করার জন্য এক লক্ষ টাকাও চাওয়া হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। আমরা বিষয়টি নিয়েো পুলিশকে জানাতে বলি। কিন্তু পুলিশকে বিষয়টি জানাতে রাজি হয়নি ক্লাবের লোকেরা। এর পর সন্ধ্যা বেলায় ক্লাবের এক সদস্যকে ৮ হাজার টাকা দিয়েছিল আমার ভাই। ক্লাবের এই দাদাগিরির পরই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে আমার ভাই। মঙ্গলবার সকালে দেখি ঘরের মধ্য়ে ওর ঝুলন্ত দেহ।”

বিষয়টি নিয়ে পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিশালগড় থানার পুলিশ অফিসার হিমাদ্রি সরকার বলেছেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। স্থানীয় সদস্যরা এক জন মহিলাকে বিয়ের করার জন্য আত্মঘাতী যুবকের উপর প্রবল চাপ তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।”